নয়াদিল্লি: প্রতারণা মামলায় এ বার অভিনেত্রী নোরা ফতেহিকে (NoraFatehi) সমন পাঠাল ইডি (ED)৷ সুকেশ চন্দ্রশেখর ও লীনা পালের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তে নোরাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷
চন্দ্রশেখর এবং লীনাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফর্টিস হেলথকেয়ারের প্রোমোটার শিবিন্দর সিংয়ের পরিবারকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা করেছেন৷ এই মামলায় দিল্লি পুলিশের থেকে ইডি তদন্তভার নিতেই সমনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷ ইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের সঙ্গে ফতেহির যোগাযোগ থাকায় নোরা ফতেহিকে ডাকা হয়েছে৷
দিল্লি পুলিশের আর্তিক দুর্নীতি শাখার অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দ্রশেখর ও লীনা পালকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং তালবাজির অভিযোগ আছে৷
এই তোলাবাজি মামলায় গত ২৪ অগস্ট ইডি চেন্নাইয়ের সমু্দ্র তীরের এক বাংলো, ৮২.৫ লাখ টাকা, ১২টি বেশি বিলাশবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে৷ দিল্লি পুলিশের অর্থ দুর্নীতি দমন শাখার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে এই তদন্ত চলছে৷ এফআইআরে, অপরাধ মূলক পরিকল্পনা, প্রতারণা এবং প্রায় ২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়৷ ইডি সূত্রে খবর, সুকেশ চন্দ্রশেখর নেতৃত্বাধীন তোলাবাজি চক্রের স্বীকার জ্যাকলিন৷ সে বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷ তবে, ঠিক কী কারণে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সে বিষয়ে জ্যাকলিন জানান নি৷
আরও পড়ুন- মেডিক্যাল টেস্ট হয়ে গিয়েছে, এখন ম্যাঞ্চেস্টারে আসার অপেক্ষা রোনাল্ডোর
ইডি জানিয়েছিল, সুকেশ চন্দ্রশেখর এই তোলাবাজি মামলার মাস্টার মাইন্ড৷ যে ১৭ বছর বয়স থেকে অপরাধ জগতে পা রাখে৷ তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ সে বর্তমানে রোহিনী জেলে রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এআইএডিএমকের ‘আম্মা’ শাখার নেতা টিটিভি ধীনাকরণের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ সেই টাকা ‘দুই পাতা’ নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে বিরোধের জন্য নির্বাচনী প্যানেল কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি, অভিযুক্ত অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
সূত্রের খবর, সুকেশ AIADMK-র আম্মা উপদলকে ‘দুই পাতা’ প্রতীক রাখতে সাহায্য করার জন্য ৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ১.৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে অভিযোগ।