নয়াদিল্লি: রাজ্যপালদের বিল আটকে না রেখে দ্রুত ছেড়ে দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমহার বেঞ্চ রাজ্যপালদের সংবিধানের ২০০ ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, রাজ্যপালরা যেন ওই ধারা অনুযায়ী ‘যত দ্রুত সম্ভব’ কথাটি মাথায় রাখেন।
সম্প্রতি অ-বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালদের সংঘাত রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্তরে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ুর মতো একাধিক রাজ্যে প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালদের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। কোথাও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মাসের পর মাস বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখা হয়েছে, আবার কোথাও রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ না করেই রাজ্যপালরা এক তরফা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সব রাজ্যে রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনেছে সরকারে আসীন দলগুলি।
আরও পড়ুন: কাজের চাপে সময় নেই, ডিভোর্সের আবেদন, বিয়ে টেকাতে দ্বিতীয় সুযোগের পরামর্শ
তেলঙ্গনার রাজ্যপাল তামিলসাই সৌন্দরারাজন বিল ছাড়তে অস্বাভাবিক দেরি করছেন বলে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি রাজ্যপালদের সংবিধানের ২০০ ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ওই ধারায় প্রথমেই বলা হয়েছে, রাজ্যপালদের যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাছে আশা বিল ছেড়ে দিতে হবে। শুধুমাত্র অর্থবিলের ক্ষেত্রে রাজ্যপালদের সে বাধ্যবাধকতা থাকে না। ওই ধারায় আরও বলা হয়েছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ কথাটির মধ্যে সাংবিধানিক তাৎপর্য রয়েছে।
তেলঙ্গনা সরকারের আবেদনে বলা হয়েছে, সংসদীয় গণতন্ত্রে কোনও বি্লে সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজযপ্লাওদের দেরি করার কোনও এক্তিয়ার নেই। এদিন সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি খারিজও করে দেয়।