নয়াদিল্লি: অভিযুক্ত জামিন চাইলেই অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা অথবা তদন্ত চলছে বলে যুক্তি দেখিয়ে অনির্দিষ্টকাল অভিযুক্তকে আটকে রাখা, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সমালোচিত হল ইডির তদন্তের এই ধরণের প্রক্রিয়া (Supreme Court on ED)। সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কারণে অভিযুক্তদের আটকে রাখার ফলে আদালতকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়টির ফয়সালা হওয়া দরকার, অভিমত বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ২৬)
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির ‘ডিফল্ট বেল’ বা জামিন পাওয়ার স্বাভাবিক অধিকার আছে। বিশেষত যখন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষ করতে অপারগ। অথবা তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট বা ফাইনাল রিপোর্ট দিতে অক্ষম। এই সময়সীমা সাধারণভাবে ৬০ থেকে ৯০ দিন। তার মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে অভিযুক্তের অবশ্যই ডিফল্ট বেল পাওয়ার অধিকার আছে, জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং বেআইনি খনিজ সম্পদ উত্তোলন মামলায় অভিযুক্ত প্রেম প্রকাশের মামলায় এমনই অভিমত দিল আদালত।
আরও পড়ুন: একাধিক মন্দিরের অর্থ মেটাচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ সরকার!
তদন্ত শেষ না হলে শুনানি শুরু করা যায় না। পাশাপাশি একের পর এক অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হয়। এর ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানি ছাড়াই বন্দী দশায় থাকতে হয়। তাই ইডিকে বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে শুনানিও দ্রুত শুরু করতে হবে। বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারপতি খান্না।
আরও খবর দেখুন