শিলিগুড়ি: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। জনপ্রতিনিধিও হয়েছিলেন ওই দলের হয়েই। মাস খানেক আগে যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- পাঁশকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু, তৃণমূলকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা বিরোধী দলনেতার
পুরসভার আর্থিক তছরুপের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন রাজ্যের প্রাক্তন বস্ত্র ও আবাসন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর পুরসভায় দীর্ঘদিন পুরপ্রধান ও প্রশাসক হিসাবে ছিলেন তিনি। সেই সময় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তিনি প্রায় দশ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ জানান বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফ্রতার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- রাজ্য ভাগ নিয়ে ফের উলটো সুর দিলীপের গলায়
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “অনেকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক রঙ না দেখে সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া উচিত।” এরপরেই দিলীপবাবু বলেন, “কিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই।” সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “দুর্নীতি যদি করেও থাকে তাহলে তৃণমূলে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়নি কেন?”
মন্ত্রী থাকাকালীন বহু সরকারি বিষয়ের টেন্ডার নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। গত ৩৪ বছর ধরে কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূলের হয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এই তছরূপের ঘটনায় আরও চারজনের নাম উঠে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেইসব নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার সময়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যাবহার করে অনেক আর্থিক জালিয়াতি করেছেন বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।