কলকাতা: বরখাস্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গ বিজেপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য বিজেপিতে সংগঠন বলে কিছু নেই। দুই অনভিজ্ঞ নেতা রীতিমতো মৌরসি পাট্টা গড়ে তুলেছেন। দফতরকে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করেছেন। সাধারণ কর্মীরা চাইলেও যেতে পারেন না। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। যাঁদের রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে, তাঁদের রাজনৈতির অভিজ্ঞতা একেবারেই কম বলেই দাবি করছেন দুই নেতা।
জয়প্রকাশ বলেন, বিজেপির ৪২টা সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এর মধ্যে ৩২টি জেলার সভাপতিদের জেলার লোকেরা চেনেনই না। তাঁরা কীভাবে সংগঠন চালাবেন? সাধারণ কর্মীদের একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বুথ, মণ্ডল, জেলাস্তরে লড়াই করে যারা সংগঠন গড়ে তুলেছেন, তাঁদের ব্রাত্য করে বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হল চাটার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি গিয়ে দলে যোগ দেওয়া নেতাদের! এই ভাবে অন্য দল থেকে লোক এনে পুরনো বিজেপি নেতাদের গুরুত্বহীন করা ঠিক হয়নি৷
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, দলের শীর্ষনেতাদের কারোর অভিজ্ঞতা ৫ বছর (সুকান্ত), কারোর ২ বছর (অমিতাভ)। কাচের ঘরে বসে রাজনীতি করছেন শীর্ষ নেতারা৷ হারের পর দলে কোনও রকম পর্যালোচনা হয়নি। নিজেদের অভিজ্ঞতা-দুর্বলতা ঢাকতে কেউ কিছু বললেই তাঁদের চুপ করে দেওয়া হচ্ছে৷ নতুন সভাপতি এসে বেশ কিছু কমিটি গড়েছেন৷ কিন্তু তাতে সবই নিজের লোক বসানো৷’
আরও পড়ুন: Bengal BJP: বাইরে থেকে নেতা এনে রাজ্য বিজেপিকে দুর্বল করার চক্রান্ত হয়েছে, মুখ খুললেন জয়প্রকাশ
জয়প্রকাশের দাবি, বিভিন্ন জেলায় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে। অনেকেই একজোট হয়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও নানা ইস্যুতে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। শান্তনুর মতো নেতাদের কার্যকলাপ দেখে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভয় পেয়ে গিয়েছে। সে কারণেই শাস্তি দিয়ে চুপ করাতে চাইছে। বুধবার সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন থেকেই বিদ্রোহীদের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন জয়প্রকাশ মজুমদার।