কলকাতা: প্রত্যাশা মতোই ভবানীপুর কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে(Byelection) আজ ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মনোনয়ম জমা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)৷ দুপুরে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন।
গত শনিবার নির্বাচন কমিশন ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে। সেই ঘোষণা শুনেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফ্লেক্স, পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। ভাবনীপুরের একাধিক জায়গায় তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনী ফ্লেক্স টাঙাতে শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়হিন্দ বাহিনীর নেতৃত্বে দেখা যায়। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়,তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্ররা ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
গত বুধবার বিকালে ভবানীপুরে এক কর্মিসভায় অংশ নেন মমতা৷ সেখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে ঝাঁঝিয়ে ওঠেন মমতা৷ নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারকে জব্দ করতেই ইডি (ED), সিবিআইয়ের (CBI) মত তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র৷ অথচ নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কিছুই করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে মমতা নন্দীগ্রাম বিধানসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করেন। ভোটের আগে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার-সহ একাধিক পদস্থকর্তাকে বদল করে ছাপ্পা ভোট করানো হয়েছিল বলেও তাঁর অভিযোগ।
আরও পড়ুন- নারদ কাণ্ড নিয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার
এদিকে ভবানীপুরের একাধিক ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘরের মেয়ে বলে দাবি করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। দ্বিতীয় লাইনে লেখা, ‘ভবানীপুর কেন্দ্রে আমাদের প্রিয় দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।’
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জয়ী হন। পরে ২১ মে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে, ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে তাঁকে।
কমিশনের বক্তব্য, রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে না এল সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। সংবিধানের ১৬৪(৪) ধারা দেখিয়ে এই উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও কমিশনের এই যুক্তি মানতে চায়নি বিজেপি।
এই উপনির্বাচনের প্রচারে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা৷ করা যাবে না বাইক ব়্যালিও৷ রাজ্যের কোভিড বিধিকে মাথায় রেখে প্রচারে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)৷ তাতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন কোনও মিছিল করা যাবে না৷ কোনও রোড শো করা যাবে না৷ বাইক-মোটর বা সাইকেল মিছিল বের করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি৷ রাস্তায় মিটিংয়ে সর্বাধিক ৫০০ জন লোক উপস্থিত থাকতে পারবে৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন রিটার্নিং অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে তিনটের বেশি গাড়ি নিয়ে ঢোকা যাবে না৷