আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূল উপর হামলা অব্যাহত ৷ ২৪ ঘণ্টায় দু’দুবার তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা চলে৷ শনিবার আগরতলার বাঁধারঘাটে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে৷ হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, বাঁধারঘাটে যোগদান অনুষ্ঠান ছিল। তৃণমূল কর্মী মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাংচুর চালানো হয়। তাঁর হাত ভেঙেছে। তাঁকে দেখতে যাচ্ছেন শান্তনু সেন কুণাল ঘোষ।
https://www.facebook.com/groups/1057821237741285/permalink/1750172961839439/
শুক্রবার আগরতলার এমবিবি কলেজে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও এভিবিপির বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের ওপর চড়াও হয় এভিবিপি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কলেজ চত্বরে। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। আর এই ঘটনার নিন্দা করে প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনায় শোলাঙ্কি সেনগুপ্ত নামের এক মহিলা কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে এভিবিপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওই মহিলা কর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে কলেজের কমন রুমে আটকে রাখে এভিবিপির কর্মীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: পারলে তৃণমূলকে আটকে দেখাও, অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
এই গোটা ঘটনার ভিডিও নিজের ফেসবুকে আপলোড করেন ত্রিপুরার যুব তৃণমূল নেতা শক্তি প্রতাপ সিং। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনায় ত্রিপুরার নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াতে আগরতলা যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবং কুণাল ঘোষ।
অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। এটা নিছক কলেজে ছাত্রদের মধ্যে বিবাদের ঘটনা বলেই দাবি করে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধমকে,চমকে লাভ নেই৷ কোনও ভাবেই ত্রিপুরায় তৃণমবলকে আটকানো যাবে না৷ আগামিদিনে স্বৈরাচারী বিজেপিকে রুখে দেবে তৃণমূল৷ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘’ভয় পেয়েছে বিজেপি, ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে তৃণমূল। সেই ভয় পেয়েই তৃণমূলের ছাত্র নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করছে বিজেপি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র তরজা অব্যাহত, কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার নোটিস অভিষেককে
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, বেশ কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় বিজেপির হেনস্থার মুখে পড়তে হয় দেবাংশু ভট্টাচার্য ও সুদীপ রাহাদের। করোনা বিধি নিষেধ ভঙ্গের অভিযোগেও তাঁদের গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। সেই সময় যুব নেতাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় গিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু সহ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতৃত্ব৷