কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো ১০৪ বছরে পদার্পণ করেছে। বর্তমানে দুর্গাপুজো উপলক্ষে থিমের রমরমা। এসত্ত্বেও বাগবাজার সর্বজনীন সাবেকিয়ানা বজায় রেখে মাতৃবন্দনা করছে। চলতি বছরের ডাকের সাজের প্রতিমার আরাধনা চলছে।
বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো শুরু হয়েছিল পরাধীন ভারতে। এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। যেমন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, নলিনীরঞ্জন সরকার, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা বাগবাজার সর্বজনীনের এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল লাঠিখেলা। লাঠিখেলার মাধ্যমে চলতি বছরেও পালিত হল বীরাষ্টমী প্রথা। বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর উদ্যোক্তারা অতীতের স্মৃতিচারণ করে জানালেন, পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে আত্মশক্তিতে বলবান হওয়ার জন্যে বিপ্লবীরা লাঠি ও তরোয়াল খেলতেন। এটা ছিল বিপ্লবীদের শরীরচর্চার অঙ্গ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও লাঠিখেলা অথবা বীরাষ্টমী এখানকার দুর্গাপুজোর অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
এদিন মহাষ্টমীতে লাঠিখেলা দেখতে বাগবাজার সর্বজনীনের মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় দর্শকরা ভিড় জমিয়েছিলেন। বলাবাহুল্য, লাঠিখেলা এখন হারিয়ে যাওয়া খেলা। হারানো সেই খেলা স্বচক্ষে দর্শন করা সুযোগ মিলেছে বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর দৌলতে।