চন্দ্রকোনা: ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict TMC party ) অব্যহত! নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে যখন জোর চর্চা শাসকদল তৃণমূলকে নিয়ে। তার মধ্যেই চন্দ্রকোনায় ( Chandrakona) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে (Conflict TMC party in Chandrakona) তালা পড়েছে এক বুথ কার্যালয়ে। পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় জয়ী হয়েছে তৃণমূলেরই গোঁজ নির্দল সদস্য। নির্দলদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে অঞ্চল সভাপতি ও সহ সভাপতির কোন্দলে কার্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেছেন অঞ্চল সভাপতি। দ্বন্দ্ব মেটাতে একাধিক বৈঠক আলোচনা হলেও ফল হয়নি। তৃণমূল নেতা কর্মীরা চাইছেন দলের কার্যালয়ে বসতে। কিন্তু নির্দলদের দাবি, তারা জয়ী হয়েছে তাই দলীয় কার্যালয়ে তারাই বসবে। দলীয় কার্যালয় দখলকে ঘিরে ফের প্রকাশ্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
চন্দ্রকোনার কোল্লা বুথ তৃণমূল কার্যালয়ে ও ভগবন্তপুরের তৃণমূলের কার্যালয়ের চাবি কার দখলে থাকবে এই নিয়ে টানাপোড়েন শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ভগবন্তপুর ২ নং অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও অঞ্চলের সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল খাঁন। দলীয় কার্যালয় দখলকে ঘিরে এই দুই নেতার অর্ন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে কোল্লা বুথ তৃণমূল কার্যালয় ও খুড়শী বুথ কার্যালয় এবং ভগবন্তপুরে কার্যালয়ের তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে পয়েছে। এনিয়ে অবশ্য একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে অঞ্চল সভাপতি ও সহ সভাপতি।
আরও পড়ুন: একাদশ শ্রেণির ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু
অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দাবি,পঞ্চায়েত ভোটে কোল্লা ও খুড়শী এই দুই বুথে দলীয় প্রাথীর বিরুদ্ধে আম চিহ্নে নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে গ্রাম পঞ্চায়েত আসেন। দুটিতেই নির্দলরা জয়ী হয়। আর তাদের মদত দেওয়ার অভিযোগের উঠেছে সহ সভাপতি ইসমাইল খাঁনের বিরুদ্ধে। এমনকি ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ টি আসনের মধ্যে নির্দল ২ টি,বিজেপি ১ টি করে আসনে জয়ী হয়,বাকি আসনগুলিতে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপি ও দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে ইসমাইল খাঁন। গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর কোনঠাসা হয়ে পড়ে অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও তার অনুগামীরা।
অভিযোগ,বন্ধ থাকা অঞ্চল কার্যালয় দখল নিয়ে সেখানে বসছেন অঞ্চলের সহ সভাপতি ইসমাইল খাঁন ও তার অনুগামীরা। আর এর জেরে কার্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন অঞ্চল সভাপতি। অপরদিকে বন্ধ থাকা কোল্লা বুথ তৃণমূল কার্যালয় ও খুড়শী বুথ তৃণমূল কার্যালয়ের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়েছে। এই দুই বুথে তৃণমূলের গোঁজ নির্দলরা জয়ী হয়। দুই কার্যালয়ের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠে নির্দলরা। একাধিক বার বৈঠক আলোচনার পর খুড়শী বুথ কার্যালয় নিয়ে অশান্তি রয়ে গিয়েছে। নির্দল ও তৃণমূল নেতৃত্বের টানাপোড়েনে এখনও তালাবদ্ধ কোল্লা বুথ তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয়। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তেজনার পারদ চড়ছে এলাকায়,বড়সড় গন্ডগোলের আশঙ্কায় উভয়পক্ষই।
আরও অন্য খবর দেখুন