করাচি: মুম্বই হামলার (Mumbai Terrorist Attack) নায়ক হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) ঘনিষ্ঠ শাগরেদ খুন। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনে লস্কর-ই-তোইবার (Lashkar-e-Taiba) অন্যতম নেতা মুফতি কাইজার ফারুক (Mufti Qaiser Farooq) গুলিতে খুন হয়েছে। করাচির (Karachi) সামানাবাদ এলাকায় একটি মসজিদের সামনে আততায়ীরা খুন করে। পাকিস্তানি (Pakistan) সংবাদমাধ্যমের দাবি, নির্দিষ্টভাবে তাকে মারতেই আততায়ীরা এসেছিল। তবে এটা কাদের কাজ, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ৩০ বছরের মুফতি ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের বিশ্বাসী সহযোগী ছিল। ওই হামলায় তারও নাম জড়ায়।
করাচিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক এসে পিছন থেকে তাকে গুলি করে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পিঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ১০ বছরের এক নাবালক জখম হয়েছে। গত শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর কুখ্যাত এই জঙ্গিকে হত্যার পর থেকেই পাকিস্তানে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। গুলি করার মুহূর্তের একটি সিসিটিভি ফুটেজও দেশময় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি যাওয়ার আগে বিরোধীদের কড়া ভাষায় কটাক্ষ অভিষেকের
মুফতি কাইজার ফারুক এক কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি। ভারতের আইন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। ফারুকের মৃত্যু পাক মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপে পর্বত পতন বলে অনুমান করা হচ্ছে। খুনের ধরন দেখে পাক সংবাদপত্রগুলি একে নিশানা করে খুন বলে ব্যাখ্যা করেছে। খুনিরা কেবলমাত্র ফারুককেই মারতে এসেছিল বলে তাদের মত। তবে কে, কী উদ্দেশ্যে তাকে খুন করল, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর হিজবুল জঙ্গি জিয়াউর রহমান করাচিতে খুন হয়। তার পরদিন, ২৯ সেপ্টেম্বর হাফিজ সইদের ছেলে কামালউদ্দিনের দেহ উদ্ধার হয়। পাকিস্তানের জাব্বা উপত্যকায় তার দেহ মেলে। কামালকে কয়েকজন অপহরণ করেছিল। ফের ৩০ সেপ্টেম্বর হাফিজের সহযোগী কাইজার ফারুক খুন হল। হাফিজের ছেলে কামালকে পেশোয়ারে কয়েকজন গাড়িতে এসে তুলে নিয়ে যায় গত মঙ্গলবার। তার পর থেকে আইএসআই বহু খুঁজেও তার হদিশ পায়নি।
উল্লেখ্য, ২৬/১১-র পান্ডা হাফিজ সইদ আপাতত পাকিস্তানের ছত্রছায়ায় সেদেশেই লুকিয়ে আছে। লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ ভারতসহ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ, আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়ার চোখে বিশ্ব-সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত।