হাওড়া: পুরসভার সামনে বিজেপিকে বাধা (BJP Blocked Howrah) পুলিশের। উত্তেজনা হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan) এলাকায়। সংঘর্ষে আক্রান্ত সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত ২৪ তারিখ রাতে হাওড়া ময়দানের কাছে ফাঁসিতলা মোড়ে অশান্তির ঘটনায় ১৭নং ওয়ার্ডে তাঁদের অনেক কার্যকর্তা আহত হন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। ঘটনার পর সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন সুকান্ত মজুমদার। শনিবার আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে এসে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার।পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না। নতুন করে এলাকায় যাতে অশান্তি না ছড়ায় তাই সুকান্ত মজুমদারকে এলাকায় ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
ত ২৪ জানুয়ারী রাতে টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন বেলিলিয়াস রোডে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, কিছু ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। অশান্তির ঘটনায় ১৭নং ওয়ার্ডে তাঁদের অনেক কার্যকর্তা আহত হন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। আহতদের দেখতে শনিবার সকালে হাওড়ায় যান সুকান্ত। হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তকে। হাওড়া পুরসভার সামনে পর পর দুটি ব্যারিকেড করে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ায় আহত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে আসা হয় হাওড়া পুরসভার গেটের সামনেই। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত। যেখানে তাঁকে আটকানো হয় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি না থাকায় কেন আটকানো হল সেই প্রশ্ন তোলেন সুকান্তবাবু। এদিন বার বার ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল মামলায় যুক্ত হতে চান তৃণমূল নেতা অভিষেক
পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, যেখানে পুলিশ নিজে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় সেখানেই ১৪৪ ধারা জারি করে। যেখানে ১৪৪ ধারা জারি নেই সেখানেও পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁকে যেতে বাধা দিচ্ছে। অরূপ বাবুকে বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল। সেন্ট্রাল হাওড়াকে আমরা পাকিস্তান বানাতে দেবনা। তার মানে এই পুলিশ প্রশাসন স্বীকার করে নিচ্ছে যে ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই ১৪৪ ধারা। এটা নিজেরাই স্বীকার করছে। এই পুলিশ থেকে কী লাভ? পুলিশ সরে যাক না। দেখি তারপর কত বোমা-গুলি আছে। আমরাও নিয়ে আসব প্রয়োজনে।
আরও অন্য খবর দেখুন