নয়াদিল্লি: কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যোগগুরু রামদেব (Ramdev)ও বালকৃষ্ণকে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের (Patanjali Ayurved) ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ এবং যোগগুরু রামদেবের প্রতি মঙ্গলবার কড়া সুপ্রিম সতর্কবার্তা। পতঞ্জলি দ্বারা প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের অভিযোগে হওয়া মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু রামদেব (Ramdev)। মঙ্গলবার রামদেব এবং সহযোগী বালকৃষ্ণকে চরম ভর্ৎসনা করে বিচারপতিরা বলেন, সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছেন আপনারা। গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চান। আদালতকে হালকাভাবে নেবেন না। আইনের ঘেরাটোপের বাইরে পা রাখার চেষ্টা করবেন না। যেকোনো ব্যক্তির ভাবমূর্তি যেমনই হোক, আইনের শাসন সর্বোচ্চ। অভিযুক্তদের প্রতি মন্তব্য বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ’র।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই ভারতজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস
মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ বলেন, এই মামলায় হলফনামা কোথায় পেশ করা হয়েছে? আদালতের কাছে অভিযুক্তদের আইনজীবী করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। আদালতের আদেশ সত্ত্বেও, রামদেব, বালকৃষ্ণ এবং পতঞ্জলি পরদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। স্পষ্ট বিধি ভঙ্গের অভিযোগেও কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা একইসঙ্গে আদালতে সমালোচিত। পতঞ্জলি এবং বালকৃষ্ণের তরফে এদিন হলফনামা জমা পড়ে আদালতে। কিন্তু রামদেবের তরফে কেন তা জমা হয়নি, প্রশ্ন তোলে আদালত। মামলা চলা সত্ত্বেও পতঞ্জলির বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়া নিয়ে আদালতের উষ্মা প্রকাশ। ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন যথাযথ নয় বলেও অভিমত আদালতের।
আদালত অবমাননার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামা জমা করার অভিযোগেও আদালত পদক্ষেপ করতে পারে। জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ১০ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিনেও রামদেব ও বালকৃষ্ণকে এজলাশে হাজির থাকার নির্দেশ।
অন্য খবর দেখুন