নয়াদিল্লি: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) নেতৃত্বে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন’ (One Nation One Election) প্যানেল সোমবার বৈঠকে বসবে। প্যানেলটি (Panel) সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই বিষয়ে তাদের মতামত চেয়ে চিঠি লিখেছিল। চিঠি পাঠানো হয় ছয়টি জাতীয় দল, ৩৩টি রাজ্য দল এবং সাতটি অন্যান্য রেজিস্টার্ড দলকে। সেই অগ্রগতির পর্যালোচনা করতে এদিনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
রাজনীতিকদের মতে দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হলে তার কিছু সুবিা ও অসুবিধা রয়েছে। এক দেশ এক নির্বাচন নীতিকে প্রয়োগ করতে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য কমিটি গঠন করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রীয় ভেঙে দেওয়ার ছক এটি। এখন দেশের সাধারণ নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচন আলাদা আলাদাভাবে হয়। কিন্তু এই নীতি কার্যকর হলে সব নির্বাচন একসঙ্গে হবে। এর সুবিধা হচ্ছে, এটা হলে রাজনৈতিকদলগুলি ও নির্বাচন কমিশনের যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, তা আর হবে না। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। আলাদা আলাদা ভোটের ফলে সরকারি কর্মীদের প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হয়। এর ফলে তা হবে না। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির কারণে উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না। তবে আঞ্চলিক দলগুলির দাবি, একসঙ্গে ভোট হলে প্রান্তিক মানুষের দাবিগুলি গুরুত্ব পাবে না। এর জন্য সংবিধানের সংশোধনীরও প্রয়োজন হবে। উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিানসভা ভোট একসঙ্গে হত। ২০২২ সালে সেই সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছিলেন লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন হাসপাতালে ভর্তি তনুজা, আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলছে অভিনেত্রীর
আরও খবর দেখুন