Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollনদীর ধারে পায়ের ছাপ, গর্জন, দক্ষিণরায়ের ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা

নদীর ধারে পায়ের ছাপ, গর্জন, দক্ষিণরায়ের ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা

উপেন্দ্রনগর জঙ্গলে রয়েছে বাঘ, ধরার প্রস্তুতি শুরু বনদফতরের

Follow Us :

পাথরপ্রতিমা: দক্ষিণরায়ের আতঙ্কে ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা। সাত সকালে নদীর চরে পায়ের টাটকা বাঘের (Royal Bengal) ছাপের দেখা মিলেছে। উপেন্দ্র নগর জঙ্গলে আছে চলছে তার রাজত্ব। দিন রাত গর্জনে কান পাতা দায়। আতঙ্ক দিন কাটাছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য দুমাস ধরে বাঘের আতঙ্ক ঘুম উড়েছে পাথরপ্রতিমা এলাকায়। কখনও শ্রীধর নগর, কখনও সিতারামপুর ইন্দ্রপুর, রাখালপুর আর উপেন্দ্রনগর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপের দেখা মিলেছে। বনদফতরের কর্মীরা গত দুমাস ধরে ঘর ছেড়ে জঙ্গলে নৌকায় বসবাস শুরু করেছে, বাঘের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এবার এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল পার হচ্ছে বাঘ। আর বনদফরের কর্মীদের কানে পৌঁছাল বাঘের গর্জন।

আরও পড়ুন: জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মানিকচক, আহত ১০

এলাকাবাসীর দাবি, বাঘ জঙ্গল (Royal Bengal Tiger Patharpratima forest) থেকে বেরিয়ে লোকালয় নদীর পাড়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। কৃষকরা চাষের কাজে যেতে পারছেন না। এমনকী মৎস্যজীবীরা যেতে পারছেন না নদীতে। বাঘের ভয়ে ঘরে বন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। রাত জেগে চলছে পাহারা। যাতে বাঘ না গ্রামে ঢুকে পড়ে তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চলছে আগুন জ্বালানোর কাজ। স্থানীয় সূত্রে খবর, একের পর এক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপের দেখা মিলেছে। বাঘটি কোথায় আছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।

বনদফতরের রামগঙ্গা, রায়দিঘি, ধনাচি রেঞ্জের আধিকারিক ও কর্মীরাও বাঘের সন্ধানে নেমেছেন। শীতের রাতেও নদী বাঁধে বনদফতরের কর্মীরা সঙ্গে এলাকার মানুষরা পাহারায় বসেছেন। শেষ পর্যন্ত এদিন উপেন্দ্র নগর ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের গর্জন শুনে বোঝা গেল দক্ষিণা রায় সেই খানেই আছে। তারপর এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে গেল বাঘ ধরার প্রস্তুতি। টোপ দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। এখন দেখার দুমাস ধরে যে বাগ খাঁচায় ঢোকেনি শ্রীধরনগর জঙ্গলে খাঁচায় ঢোকে কিনা!

আরও অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular