বাংলাদেশ ৮৪ (১৮.২ ওভারে)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৬-৪ (১৩.৩ ওভারে)
টি টোয়েন্টি বিশ্ব কাপের সেমিফাইনালে ইতিমধ্যেই চলে গেছে ইংল্যান্ড। এক নম্বর গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় স্থানটির জন্য এখন লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। মঙ্গলবার আবুধাবিতে বাংলাদেশকে হেলায় ৬ উইকেটে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে বেশ ভালভাবেই রয়ে গেল। আবু ধাবির শেখ জয়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন তেম্বা বাভুমা। কিন্তু প্রোটিয়া বোলারদের বিরুদ্ধে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় রেখে বাংলাদেশ মাত্র ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। বাংলাদেশকে ভেঙেছেন কাগিসো রাবাডা এবং অনরিখ নোখিয়া। দুই জোরে বোলারের দাপটে খেই হারিয়ে ফেলে একটার পর একটা উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন বাংলাদেশী ব্যাটাররা। চার ওভার বল করে রাবাডা পেয়েছেন কুড়ি রানে তিন উইকেট। আর ৩.২ ওভার বল করে নোখিয়া পেয়েছেন ৮ রানে তিন উইকেট। বাঁ হাতি স্পিনার তাবিয়েজ শামসি পেয়েছেন ২১ রানে দুই উইকেট। জবাবে মাত্র ১৩.৩ ওভারে ৮৬-৪ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতে যায়। তাদের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ২৮ বলে অপরাজিত ৩১ রান করেন।রাসি ভান দার হুসেন করেন ২৭ বলে ২২ রান। কুইন্টন ডি ককের ১৫ বলে ১৬ রানও উল্লেখযোগ্য। ম্যাচের সেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাডা।
এই জয়ের ফলে দক্ষিন আফ্রিকা এখন চার ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার খেলা বাকি বাংলাদেশ (৪ নভেম্বর) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৬ নভেম্বর) সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা বাকি ইংল্যান্ডের সঙ্গে (৬ নভেম্বর)। তবে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার জেতা যতটা সহজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ততটা সহজ নয়। তাই সেমিফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া একটু হলেও এগিয়ে। তবে তাদের বাকি দুটি ম্যাচ জিততে হবে। এবং ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
তবে তার আগে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা যে দাপট রেখে হারাল বাংলাদেশকে তাতে তাদের টিমের শক্তি যে কম নয় তা বোঝা গেল। লিটন দাস (৩৬ বলে ২৪) এবং মেহেদি হাসান (২৫ বলে ২৭) ছাড়া বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার তেমন রান পাননি। মহম্মদ নইম (৯), সৌম্য সরকার (০), মুশফিকুর রহিম (০), মামুদুল্লাহ (৩), আদিল হোসেন (০), সইফুল হোসেন (১১), তাইজুল আমেদ (৩), নইম আমেদ (০) এবং সরিফুল ইসলাম (০) খুবই বাজে ব্যাটিং করেছেন। বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটসম্যান কোনও রানই করতে পারেননি। টিম জিতবে কী করে?
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা শুরুর দিকে একটু অসাচ্ছন্দে ছিলেন। রেজা হেনড্রিক্স (৪), আদ্রিয়েন মার্করাম (০) রান পাননি। এদের মাঝেই কুইন্টন ডিকক (১৬) তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৩৩ রানে তিন উইকেট হারায়। এর পর বেভুমা এবং ভান ডার হুসেন চতুর্থ উইকেটে ৪৭ রান তুলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। বেভুমার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার (৫)।
দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়া এখনও টি টোয়েন্টি বিশ্ব কাপ জেতেনি। এবার তারা সেটা পারে কি না তাই এখন দেখার। তবে তার আগে তাদের সেমিফাইনালে উঠতে হবে। সবার নজর এখন সেই দিকে।
বাংলাদেশকে হেলায় হারিয়ে শেষ চারে যাওয়ার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা
Follow Us :