কলকাতা: পর্যটন ব্যবসাকে শিল্পের আওতায় আনল রাজ্য সরকার। বুধবার পর্যটনকে ব্যবসাকে শিল্পে উত্তরণের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হল রাজ্য মন্ত্রিসভায়। এবার রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
মূলত এই রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে গোটা দেশের কাছে তুলে ধরতে, একই সঙ্গে বিনিয়োগের রাস্তা প্রশস্ত করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।পর্যটনকে আরও আকর্ষক করে তোলার ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি ঋণ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পের তকমা পেলে সেই আর্থিক সুবিধা আরও বাড়বে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরও বেশি সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা এবং পর্যটকদের আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া যাবে।
পর্যটন কেন্দ্র এলাকার হোটেল, হোমস্টে এবং রিসর্টে বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পঞ্চায়েত দফতর সমীক্ষা করেছে পুজোর আগেই। ২৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাহায্য এই সমীক্ষার কাজ হয় বলে সূত্র খবর।
সমীক্ষায় হোমস্টে এবং রিসর্টে সেপটিক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সোকপিটের সংযোগ আছে কি না, পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য সঠিকভাবে আলাদা করা হয় কি না ইত্যাদি এই সব বিষয় সমীক্ষায় দেখা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র এবং সেখানকার হোটেল, হোমস্টে এবং রিসর্টগুলিতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিশেষ প্রচার অভিযানও চালানো হয় বলে পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এবার পরিচ্ছন্নতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হোটেল ও হোমস্টে গুলিকে সেফ স্যানিটেশন শংসাপত্র দেওয়া হবে। আগামী দিনে এই সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যের উপর নির্ভর করে পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে গত ২ অক্টোবর পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যেও লোকশিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠানের ব্যাবস্হা করেছিল রাজ্য পর্যটন দফতর।
বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ মিলিয়ে ৫৫৬টি পর্যটন কেন্দ্র ওপেন ডেফিকেশন ফ্রি (ওডিএফ) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে হোটেল, হোমস্টে এবং রিসর্টের সংখ্যা। পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে প্রতিটি পর্যটন স্পটে। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র অধিকাংশই রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় অবস্হিত। তাই এবার এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে নির্মল করতে রাজ্যের এই উদ্যোগ বলে পর্যটন দপ্তর সূত্রে খবর।