Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollসিবিআই বিশেষ আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে
Supreme Court

সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে

আদালতের অমনোযোগের কারণেই মানিক-পুত্রের জামিন, বলল শীর্ষ আদালত

Follow Us :

কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের (Sauvik Bhattacharjee) জামিন মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের (Court) বিচার প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে পড়ল। নিম্ন আদালতের অমনোযোগের (non application of mind) কারণেই শীর্ষ আদালতে মানিকের ছেলের জামিন হয়ে গিয়েছে। আইনজীবী মহল বলছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারে বারে সিবিআই বিশেষ আদালত এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া উচ্চ আদালতে সমালোচিত হচ্ছে।

নিম্ন আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর সৌভিক সুপ্রিম কোর্টে যান। সেই মামলা চলে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবে্দী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে সৌভিকের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে সমন জারির বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে বলে বিশেষ আদালত অভিমত দিয়েছিল। তারপরও সমন জারি করা হয়। তার জন্য সৌভিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তখন থেকে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। আদালত যেখানে সমন জারির নির্দেশ দেয়নি, সেখানে সৌভিককে হেফাজতে নেওয়া যায় না। আদালতের ওই পদক্ষেপ সঠিক নয়।

আরও পড়ুন: সিংহের নাম আকবর, সিংহীর নাম সীতা কেন, মামলা হাইকোর্টে

ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু বলেন, সমনের নির্দেশ ছাড়াই হেফাজতে নেওয়ার অভিযোগ সৌভিক হাইকোর্টে করেননি। বিশেষ আদালত যে সমন জারি করেনি, তা ঠিক। তবে সমন জারি না হলেও অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ এবং জামিনের আবেদন করতে পারেন। যেহেতু তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, তাই ফৌজদারি আইন মোতাবেক তাঁর জামিনের আবেদন নিম্ন আদালত খারিজ করে। সেই রায়ই হাইকোর্ট বহাল রাখে।

বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী বলেন, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনও সমন জারির নির্দেশ দেয়নি। তারপরও ওই আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। সেই সূত্রেই সৌভিক আত্মসমর্পণ করেন। ২২ ডিসেম্বর সমন পাঠিয়ে অভিযুক্তকে ৭ জানুয়ারি হাজিরা দিতে বলা হয়। সেদিন হাজির হয়ে তিনি জামিন চান। যেহেতু সমন জারি হয়নি, তাই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা যায় না। এখানেই বিভ্রান্তির সূত্রপাত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি, তাই জামিনের আবেদনও দরকার ছিল না। অভিযুক্ত নিজেও ভুল বুঝে জামিনের আবেদন করেছেন। তা আবার তিনি হাইকোর্টে উল্লেখ করেননি।

আদালত বলে, এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হল। এই নির্দেশ মেনে নিম্ন আদালত শর্তের বিষয়গুলি সম্পর্কে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। সেখানে ইডি মনে করলে সওয়াল করতে পারে।

আরও খবর দেখুন 

RELATED ARTICLES

Most Popular