কলকাতা, ২১ এপ্রিল : আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপ-নির্বাচনে ফল খারাপ হওয়ার পর থেকে বিজেপির অন্দরের কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে ৷ এবার দলের জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা তোপ দাগলেন ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি আত্ম-অহঙ্কার ছাড়ার বার্তা দিলেন ৷
শুক্রবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট করেন অনুপম হাজরা ৷ তিনি লেখেন, ‘‘আত্ম-অহঙ্কার ছাড়ো ৷ আত্ম-বিশ্লেষণ করো ! পুরনো মানুষগুলো ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে !’’ শেষে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ ৷’’
বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম এখানে বিজেপির নাম উল্লেখ করেননি ৷ কাকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্ট সেটাও লেখেননি ৷ শুধু কৌশলে ‘যার জন্য প্রযোজ্য’ শব্দটি তিনটি হ্যাশট্যাগের সঙ্গে লিখে বুঝিয়েছেন ৷
গতকালই, বিজেপি সদ দফতর মুরলি ধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতর বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । মূলত তাদের অভিযোগের তির বিজেপি রাজ্য সম্পাদক (সংগঠক) অমিতাভ চক্রবর্তীর দিকে । যে নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট নন বিক্ষোভকারীরা । মূলত তাদের অভিযোগ একে একে সমস্ত প্রবীণদের ছেটে দিয়ে নবীনদের সুযোগ দিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বর্তমান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব । তাই তারা রাজ্য দফতরের সামনে রাজ্য সংগঠক অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান ।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকালেই দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, সুকান্ত মজুমদার সবে দায়িত্ব পেয়েছেন । অভিজ্ঞতা কম আছে । দল কত বছর ধরে লড়াই করেছে । বহু যোগ্য ব্যক্তি আছেন, এত বড় আন্দোলন সংগঠিত করেছেন । বহু নেতা আছেন, যাদের বিশ্বাস করে লোকেরা রাস্তায় নেমেছেন । সেই লোকগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত । নেতৃত্বে পরিবর্তন হতেই থাকবে । আমাদের দলে শিষ্টাচার অনুযায়ী নতুন নেতৃত্ব আসবেন । তাই দলটা এখনও বেঁচে আছে । এর পরই তাঁরই সংযোজন, যোগ্য লোকগুলোকে দল থেকে বাদ দিলে হবে না । তাদের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব দিতে হবে, সেই অভিজ্ঞতার লাভ নিতে হবে । তার পরই বেলায় সদর দফতরের বাইরে দেখা গেল বিক্ষোভ ।