চেন্নাই: রবিবার চেন্নাইয়ের (Chennai) চিপক স্টেডিয়ামে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) টানে দেশের অন্য সব মাঠেও হলুদ রঙের ছোঁয়া দেখা যায়, আর চেন্নাইতে তো গোটা স্টেডিয়াম হলুদ হয়ে ওঠে। প্রশ্ন হল, ধোনি আইপিএল (IPL) থেকে অবসর নিলে কি এই সমর্থন থাকবে? অবশ্যই না। এ বছরই তাঁর শেষ আইপিএল এমন একাধিক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ধোনি নিজে বলেছেন, কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছি। তবে সিএসকে কর্তা কাশী বিশ্বনাথন (Kashi Viswanathan) চাইছেন, পরের মরশুমেও মাহি খেলুন।
সিএসকে-র জন্মলগ্ন থেকে ধোনিই দলের সব। তাঁর আকর্ষণেই চেন্নাইয়ের কোটি কোটি সমর্থক। ধোনি যতদিন সম্ভব খেলুন বিশ্বনাথন চাইবেন তা স্বাভাবিক। ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে একটি বিশেষ ভিডিয়োয় দলের সবাই সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই ভিডিয়োর শেষে বিশ্বনাথন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরের মরশুমেও ধোনি আমাদের হয়ে খেলবে। আশা করছি সমর্থকরা এতদিন যেভাবে আমাদের ভালবাসা দিয়েছেন, সেভাবেই দিয়ে যাবেন আগামী দিনে।
আরও পড়ুন: Lionel Messi | FCB | মেসিকে ফেরানোই প্রধান লক্ষ্য, লিগ জয়ের পর ঘোষণা বার্সা প্রেসিডেন্টের
ধোনি সামনের মরশুমে খেলবেন কি না সেটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। যদি ব্যাট-গ্লাভস হাতে মাঠে না-ও নামেন, তাঁকে দলের মেন্টর গোছের পদ দেওয়া হতে পারে। কারণ ধোনি-হীন সিএসকে শিবির মণিহারা ফণীর মতো। এক ধাক্কায় অনেকখানি দর্শক সমর্থন কমে যাবে, ঝাড় খাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবসায়িক সাফল্য। তাই খেলোয়াড় ধোনি না থাকলেও মেন্টর ধোনিকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর সিএসকে। ডাগ আউটে তাঁর মুখটা দেখা গেলেই যথেষ্ট।
A night of gratitude and infinite #Yellove #YellorukkumThanks #WhistlePodu 🦁💛 pic.twitter.com/1FTdgN7Z2c
— Chennai Super Kings (@ChennaiIPL) May 14, 2023
এসব নিয়ে অবশ্য এই মুহূর্তে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই মাহির। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য এখন দলকে প্লে অফে নিয়ে যাওয়া। আইপিএল শেষ হলে তারপর হয়তো একদিন হুট করে পোস্ট দেবেন। যেমন ‘ম্যায় পল দো পল কা শায়র হুঁ’ লিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছিলেন। শুধু চেন্নাই সমর্থকরা নয়, গোটা দেশই চায় সেই মুহূর্ত যেন যতটা সম্ভব দেরি করে আসে।
প্রসঙ্গত, রবিবার জিতলেই প্লে নিশ্চিত হয়ে যেত সিএসকে-র। কিন্তু সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীদের স্পিনে চাপে পড়েন ঋতুরাজ গায়কোয়ার, ডেভন কনওয়েরা। শিবম দুবের ৪৮ রানে ভর করে ১৪৪ রান তোলে তারা। জবাবে শুরুতে তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে কেকেআর (KKR)। তারপর নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিংয়ের পার্টনারশিপে ভর করে ম্যাচ জেতে তারা। এই জয়ে প্লে অফের সম্ভাবনা টিমটিম করে টিকে রইল কলকাতার।