২০০৩ থেকে তিনি ভারতের পেশাদার সার্কিটে খেলছেন। দেশের সব সেরা ট্রফি ছিল তাঁর ক্যাবিনেটে। ছিল না শুধু ডুরান্ড কাপটা। রবিবার সন্ধ্যায় সল্ট লেক স্টেডিয়ামে সেটাও জিতে নিলেন সুনীল ছেত্রী। সুনীলের বেঙ্গালুরু এফ সি ওই দিন ডুরান্ড ফাইনালে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল মুম্বই সিটি এফ সি-কে। ১১ মিনিটে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন তাদের নবীন ফুটবলার নারায়ণ শিবশক্তি। কিছুক্ষণের মধ্যে গোলটি শোধ করে দেন মুম্বইয়ের আপুইয়া। ৬০ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর কর্নার থেকে বেঙ্গালুরুকে আবার এগিয়ে দেন অ্যালান কোস্তা। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই ডুরান্ড জিতে যায় বেঙ্গালুরু। স্বপ্ন পূরণ হয় সুনীলের। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, “বহু দিন ধরে এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আজ ডুরান্ড জিতে সেই স্বপ্ন সফল হল। এবার আমাদের লক্ষ্য ভিয়েতনাম থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরা।” ভিয়েতনামে ভারত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে মঙ্গলবার রওনা হচ্ছে। টুর্নামেন্টে খেলবে তিনটি দেশ। ভারত ছাড়া বাকি দুটি দেশ হল আয়োজক ভিয়েতনাম এবং সিঙ্গাপুর। ২৪ সেপ্টেম্বর ভারত খেলবে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে। ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের মুখোমুখি হবে ভিয়েতনাম। তবে আলাদা করে কোনও ফাইনাল হবে না। তিনটি ম্যাচ থেকে যে দল বেশি পয়েন্ট পাবে তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন। ভারতের কোচ ইগর স্টিমাকের কার্যকাল আরও এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কোচিংয়েই ভারত খেলবে ভিয়েতনামে।
রবিবার সুনীল ছেত্রীর উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হল ময়দানের সুপরিচিত লজেন্স মাসী যমুনা দাসকে। সুনীলদের হোটেলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। উদ্যোগে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক নিজেই। হোটেলে পৌছনোর পর সুনীল নিজে এসে যমুনা দেবীকে নিয়ে যাব হোটেলের ডাইনিং রুমে। সেখানে দলের অন্যদের কাছে যমুনা দেবীর ফুটবল প্যাশন নিয়ে বক্তব্য রাখেন সুনীল। এর পর তাঁকে পাশে বসিয়ে লাঞ্চও সারেন। এবং উপহার দেন বেঙ্গালুরু একটি জার্সি। এভাবে সংবর্ধনা পেয়ে খুবই খুশি যমুনা দেবী। বলেন, “এতখানি সম্মান পাব কখনও ভাবিনি।” কলকাতার জামাই সুনীল ছেত্রী রবিবার শুধু ডুরান্ড কাপই জিতলেন না, জিতে নিলেন ফুটবল নগরীর হৃদয়ও।