চেন্নাই: প্লে অফের অতি ক্ষীণ আশা টিকিয়ে রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। অন্তত খাতায় কলমে এখনও সুযোগ রয়েছে। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয়ী হয়েছেন নীতীশ রানারা (Nitish Rana)। ১১ বছর পর মহেন্দ্র সিং ধোনিদের (Mahendra Singh Dhoni) ডেরায় তাঁদের হারিয়ে এল কেকেআর (KKR)। দুই দলের মুখোমুখি ২৯ বারের সাক্ষাতে ১৮ বার জিতেছে সিএসকে, একটা অমীমাংসিত এবং ১০টি ম্যাচ জিতেছে নাইটরা। কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগই ইডেনে (Eden Gardens) ঘরের মাঠে। শেষবার ২০১২ সালের ফাইনালে চিপক স্টেডিয়ামে জিতেছিল তারা, তার পর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। ঠিক কী কারণে এই লাগাতার পরাজয় আর কী রহস্যে কালকের ম্যাচ জয়? রয়েছে কিছু কারণ।
প্রথমত, বরাবর স্পিনারদের নিয়ে আক্রমণ করতে পছন্দ করেন সিএসকে অধিনায়ক ধোনি। এককালে তাঁর হাতে ছিল মুথাইয়া মুরলীধরন। এরপর এলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। অশ্বিন অন্য দলে চলে গেলেও জাদেজা এখনও আছেন, সঙ্গে যোগ হয়েছেন মহিশ থিকসানা। অর্থাৎ ভালো মানের স্পিনারের ওভাব কখনও ছিল না সিএসকের। চেন্নাইতে বরাবর স্পিন সহায়ক পিচ বানানো হয়েছে। যেখানে কেকেআর শুধু নয়, অন্যান্য দলগুলোও সেই পিচে বিপর্যস্ত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, নাইট শিবিরে ভালো স্পিন খেলার ব্যাটারের অভাব। গৌতম গম্ভীর দুর্দান্ত স্পিন খেলতেন, সেই মানের এখনও কেউ নেই। পিচে বল একটু ঘুরলেই ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে।
রবিবার ঠিক এই কারণেই জিতেছে কেকেআর। সুনীল নারিন ফর্মে ফিরেছেন। চিপকের পিচের ঘূর্ণির পুরো ফায়দা তুলেছেন তিনি। আর এক মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে খেলতেও হিমশিম খেয়েছেন সিএসকে ব্যাটাররা। এই দুজনের দাপটেই মাত্র ১৪৪ রান করেন ধোনিরা। শিবম দুবে শেষ দিকে চার-ছয় না মারলে আরও খারাপ হত।
রাতের ম্যাচ হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির ফ্যাক্টর ছিল। তবু থিকসানা, জাদেজা, মইন আলিরা খারাপ বল করেননি। শুরুতেই পেসার দীপক চাহার তিন উইকেট তুলে নিতে কাঁপছিল নাইট শিবির। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতালেন নীতীশ এবং রিঙ্কু। ২০১২ সালের ফাইনালে যেমন মনবিন্দর বিসলা এবং যাক কালিস জিতিয়েছিলেন।