বিরাট কোহলির আচরণে ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে গতকালে ম্যাচে কোহলির আগ্রাসী আচরণ বিসিসিআইয়ের পছন্দ হয়নি। চিন্নাস্বামীতে সিএসকে-আরসিবি ম্যাচের পরে বিবৃতি দিয়ে বিসিসিআই জানায়, আইপিএলের নিয়ম ভাঙার জন্য বিরাট কোহলির ম্যাচ ফি-র ১০ শতাংশ জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে। টুর্নামেন্টের নিয়মের ২.২ ধারায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন আরসিবির প্রাক্তন অধিনায়ক।
এদিকে এবার পাল্টা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিরাট কোহলি ইনস্টাগ্রামে তাঁকে আনফলো করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও সোমবার সন্ধে-রাতে কোহলিকে আনফলো করলেন সৌরভও।
এদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত দিল্লি ক্যাপিটালস। বিমর্ষ হয়ে পড়া ক্রিকেটারদের চাঙ্গা করতে পেপ টক দিলেন সৌরভ। জ্বালাময়ী ভাষণে তিনি বললেন, “এই হার যত দ্রুত সম্ভব পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে। অধিনায়কের পাশে থাকো, একে অপরের পাশে দাঁড়াও। পরের ম্যাচে তরতাজা হয়ে নামব আমরা। এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। শুধু ভালো হতে পারে। এখনও ৯টা ম্যাচ বাকি। আমরা বাকি ৯টা ম্যাচের সবক’টাতেই জিততে পারি।”
সুপার কাপের সেমিফাইনালের ছাড়পত্র পেতে গেলে বড় ব্যবধানে হারাতে হত আইজল এফসি–কে। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হত হায়দরাবাদ এফসি ও ওডিশা এফসি ম্যাচের দিকে। কিন্তু ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় অধরা থেকে গেল ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের ফল ২–২। আইজল এফসি–র সঙ্গে ড্র করে সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দল। এগিয়ে থেকেও তা ধরে রাখতে না পারার পুরনো রোগ দেখা গেল লাল হলুদের।
কলকাতা তাদের স্কোয়াড থেকে রাহানেকে ছেড়ে দেওয়ার পরেই চেন্নাই নিলাম থেকে দলে নেয় অজিঙ্কাকে। তার ফলও মিলছে হাতেনাতে। আইপিএল ২০২৩-এ রাহানে যে রকম ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করছেন, তাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হাত কামড়াতে পারে কলকাতা। প্রথমে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৬১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন অজিঙ্কা। পরে চিপকে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে করেন ১৯ বলে ৩১ রান। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এবার চিন্নাস্বামীতে আরসিবির বিরুদ্ধে ২০ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। উল্লেখযোগ্য় বিষয় হল, ৪.৩ ওভারে বিজয়কুমারের বলে হুক করে একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান রাহানে। ছক্কায় বল গিয়ে লাগে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ছাদে। রাহানের এমন ছক্কা দেখে কমেন্ট্রি বক্সে থাকা সুনীল গাভাসকরও হতবাক হয়ে যান।
রিঙ্কুর বাবা খানচন্দ্র সিংহ এখনও এলপিজি সিলিন্ডার পৌঁছে দেন বাড়ি বাড়ি। দুই ভাইয়ের একজন অটো চালান, আর একজন কোচিং সেন্টারে ঝাড়পোঁছ করেন। রিঙ্কুকেও একসময় ঘর মোছার কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা না করে ক্রিকেট খেলার দিকেই মন দেন। তাঁর মতো কষ্ট আর যাতে কোনও ক্রিকেটারকে না করতে হয়, তারই ব্যবস্থা করছেন রিঙ্কু।
এবার দরিদ্র এবং উঠতি ক্রিকেটারদের জন্যে নিজের টাকার হস্টেল তৈরি করছেন রিঙ্কু। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সেই হস্টেল তৈরি হয়ে যাবে। খুব কম খরচে সেখানে থাকতে পারবেন অভাবী ঘরের ক্রিকেটাররা।