Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeখেলাTeam India: অজি সিরিজের মার্কশিট- লেটার মার্কস অক্ষর প্যাটেল, ডাহা ফেল হর্ষল...

Team India: অজি সিরিজের মার্কশিট- লেটার মার্কস অক্ষর প্যাটেল, ডাহা ফেল হর্ষল প্যাটেল

Follow Us :

গতকাল, রবিবার শেষ হল ভারত-অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচে হারের পরেও সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কেমন ভাবে কাজে লাগাতে পারলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা! বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে কেমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়া।

আসুন দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-২০ সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের মার্কশিট

রোহিত শর্মা (৭/১০)

( প্রথম ম্যাচে ১১ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৬ রান, তৃতীয় ম্যাচে ১৭ রান)

অধিনায়ক রোহিত শর্মা দলকে আরও একটা সিরিজ জেতালেন। নাগপুরে বৃষ্টি বিঘ্নিত আট ওভারের ম্যাচে ভারতকে জিতিয়ে ছিলেন রোহিত শর্মা। নাগপুরে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ছিলেন রোহিত। যদিও হায়দরাবাদে শেষ ম্যাচে শুরুটা ভাল করেও আউট হয়ে যান, মোহালিতে প্রথম খেলাতেও রান পাননি রোহিত। মোটের ওপর রোহিতের কাছে এই সিরিজ ভালই গেল। দশের মধ্যে রোহিতকে সাত নম্বর দেওয়াই যায়।

আরও পড়ুন- সিরিজ জয়ের পর কী বললেন রোহিত শর্মা

লোকেশ রাহুল (৬.৫/১০)

( প্রথম ম্যাচে ৫৫, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০, তৃতীয় ম্যাচে ১ রান)

মোহালিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫৫ রানের ধামাকাদার ইনিংস খেলে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছিলেন রাহুল। চোট সারিয়ে দলে ফেরার পর রাহুল একেবারেই রান পাচ্ছিলেন না। এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মোহালির ইনিংসে রাহুল সমালোচকদের চুপ করিয়েছিলেন। তবে হায়দরাবাদে সিরিজের নির্ধারক ম্যাচে শুরুতেই আউট হয়ে যান। দশের মধ্যে রাহুলকে ৬.৫ নম্বর দেওয়াই যায়।

বিরাট কোহলি (৭/১০)

(প্রথম ম্যাচে ২, দ্বিতীয় ম্যাচে ১১, তৃতীয় ম্যাচে ৬৩)

এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি খরা কাটিয়ে অজিদের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু মোহালি, নাগপুর-পরপর দুটো ম্যাচে রান না পাওয়ায় চাপ ফিরেছিল বিরাটের ওপর। হায়দরাবাদে বড় রান তাড়া করতে নেমে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে সিরিজ জেতার পর সবার মুখে বিরাট বন্দনা। দশের মধ্যে বিরাটকে ৭ নম্বর দেওয়াই যায়।

সূর্যকুমার যাদব (৮/১০)

(প্রথম ম্যাচে ৪৬,দ্বিতীয় ম্যাচে ০, তৃতীয় ম্যাচে ৬৯)

মোহালিতে ভাল খেলেও মোক্ষম সময়ে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। রবিবার হায়দরাবাদে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে দেশকে জিতিয়ে সূর্যকুমার যাদব মাতিয়ে দিয়েছেন।সিরিজের শেষ ম্যাচের সেরা সূর্যকুমার যাদবকে  দশের মধ্যে আট নম্বর দেওয়াই যায়।

হার্দিক পান্ডিয়া (৭/১০)

(প্রথম ম্যাচে ৭১, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯, তৃতীয় ম্যাচে ২৫)

মোহালিতে ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য খেলে ৩৫ বলে ৭১ রান করেছিলেন। এরপর হায়দরাবাদে ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় ভূমিকা নেন। তবে হার্দিক পান্ডিয়া কিন্তু অলরাউন্ডার হিসেবে দলে আছেন। বোলার হার্দিককে তেমন ভরসার দেখায়নি সিরিজি। তাই ব্যাট হাতে দারুণ করে বোলিংয়ে সাদামাটা করায় হার্দিককে দশে সাত দিতে হবে।

দীনেশ কার্তিক (৭/১০)

প্রথম ম্যাচে ৬, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ অপরাজিত, তৃতীয় ম্যাচে ১ অপরাজিত

এই সিরিজে ঠিক ৮টা বল খেলেছেন। নাগপুরে শেষ ওভারে দুটো বল খেলে প্রথমটায় ওভার বাউন্ডারি, দ্বিতীয়টায় বাউন্ডারি মেরে ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ছিলেন কার্তিক। কার্তিক এলেন, মারলেন, জেতালেন, চলে গেলেন সেই স্লোগান এই সিরিজে অব্যাহত থাকল। নাগপুরে ম্যাচ জেতানো দুটো শটের জন্য কার্তিককে দশে সাতে।

ঋষভ পন্থ (৫/১০)

একটাই ম্যাচ খেলেছেন, ব্যাটের সুযোগ পাননি

নাগপুরে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে ঋষভ পন্থকেও দলে রাখা হয়েছিল। রোহিত শর্মা শুরুতে ভেবেছিলেন কার্তিকের আগে পন্থকে নামাবেন, কিন্তু কার্তিককে শেষ পর্যন্ত নামান অধিনায়ক। ফলে ব্যাটের সুযোগ পাননি। মোহালি আর হায়দরাবাদে দলে রাখা হয়নি তাঁকে। সিরিজে একটা বলও না খেলা পন্থকে দশের মধ্যে পাঁচ দিতে হচ্ছে সিরিজ জয়ী দলের সদস্য হওয়ায়। 

অক্ষর প্যাটেল (৮.৫/১০)

এশিয়া কাপে রবীন্দ্র জাদেজা চোট না পেলে তাঁর খেলার কথা ছিল না। জাদেজার পরিবর্তে সিরিজ খেলে মুগ্ধ হল অক্ষর প্যাটেলের বোলিং। সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতলেন অক্ষর প্যাটেল। অজি ব্যাটারদের চোখে সর্ষেফুল দিয়ে অক্ষর মোট ৮টি উইকেট নেন। মোহালিতে ১৭ রান দিয়ে অক্ষর নেন ৩টি উইকেট, নাগপুরে ১৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট আর হায়দরাবাদে ৩৩ রান দিয়ে নেন অক্ষর। এরকম বোলিং সত্যি কম দেখা যায়।

যুজবেন্দ্র চাহাল (৬.৫/১০)

মোহালিতে ৪২ রান দিয়ে এক উইকেটের স্পেলটা ভাল ছিল না চাহালের। দলের অন্য স্পিনার অক্ষরকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেননি চাহাল। নাগপুরে এত কম ওভারের খেলা তেমন কিছু করার ছিল না। তবে অজিদের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ টি-২০তে ভাল করেন চাহাল। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে চাহাল নেন স্টিভ স্মিথের উইকেট। তবে তাঁর কাছ থেকে আরও ভাল স্পেল আশা করতে হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে। 

জশপ্রীত বুমরা (৫/১০)

এশিয়া কাপে তিনি চোটের কারণে খেলতে না পারায় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা কেঁদে ভাসিয়েছিলেন। চোট সারিয়ে স্কোয়াডে ফিরলেও মোহালিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারে ভারত। এরপর নাগপুরে দলে ফেরেন বুমরা। কমলালেবুর শহরে অধিনায়ক ফিঞ্চ বোল্ড করে শুরুটা দারুণ করেছিলেন। ২ ওভারে ২৩ রানে নিয়েছিলেন এক উইকেট। তবে হায়দরাবাদে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ছন্নছাড়া বোলিং করেন বুমরা। চোট সারিয়ে ফিরেছেন এটাই অবশ্যই অনেক।  

ভূবনেশ্বর কুমার (৪/১০)

চোট সারিয়ে দলে ফিরে সিরিজের তিনটে ম্যাচেই খেললেন। মোহালিতে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৮, নাগপুরে ২ ওভারে দেন ৩২, হায়দরাবদে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। তবে নিজামের শহরে শেষ ওভারের প্রথম বলে ওভার বাউন্ডারি হজমের পরের পাঁচটা বল দারুণ করে মাত্র এক রান দিয়ে একটা উইকেট নিয়েছিলেন। এই কারণে হর্ষলকে খুব বেশি হলে দশে তিন দেওয়া যায়। 

হর্ষল প্যাটেল (২/১০)

চোট সারিয়ে দলে ফিরে সিরিজের তিনটে ম্যাচেই খেললেন। মোহালিতে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৮, নাগপুরে ২ ওভারে দেন ৩২, হায়দরাবদে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। তবে নিজামের শহরে শেষ ওভারের প্রথম বলে ওভার বাউন্ডারি হজমের পরের পাঁচটা বল দারুণ করে মাত্র এক রান দিয়ে একটা উইকেট নিয়েছিলেন। এই কারণে হর্ষলকে খুব বেশি হলে দশে তিন দেওয়া যায়। 

উমেশ যাদব (৬/১০)

সিরিজ শুরুর ঠিক আগে মহম্মদ শামির করোনা হওয়ায়, তাঁর পরিবর্তে স্কোয়াডে ঢোকানা হয় উমেশ যাদব-কে। মোহালিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জশপ্রীত বুমরা-কে দলে না নিয়ে, উমেশ যাদবকে খেলানো হয়। দীর্ঘদিন পর দেশের হয়ে টি-২০তে খেলতে নেমে উমেশ ভালই বল করেন। কেকেআর-এর বিদর্ভের পেসার উমেশ মোহালিতে ২ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মোহালিতে একই ওভারে স্টিভ স্মিথ ও  গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন উমেশ। তবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে আর দলে জায়গা পাননি উমেশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular