নিউইয়র্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পৃথিবীর সামুদ্রিক (Sea) জীবনকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) সদস্য দেশগুলি। টানা ৩৮ ঘণ্টা আলোচনার পর শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে ‘হাই সিজ ট্রিটি’ নামের চুক্তিটির ব্যাপারে সবার সম্মতি মেলে। সভাপতি রেনা লি বলেন, ‘জাহাজ তীরে পৌঁছেছে।’তাঁর কথায় সভাকক্ষ হাততালিতে ভরে ওঠে। ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জল ও স্থলের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে।
সূত্রের খবর, নিয়মকানুন সেরে খুব তাড়াতাড়ি চুক্তিপত্রটি আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করা হবে। ছ’টি ভাষায় চুক্তিপত্রটিকে অনুবাদ করা হবে বলে খবর। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস সংগঠনের প্রতিনিধিদের বলেন, এই চুক্তি ‘বহুপাক্ষিকতার জয়’। সমুদ্র ধ্বংসের মুখে। পৃথিবীর জলভাগ রক্ষার সার্বিক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। যা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় জয়।
‘হাই সিজ ট্রিটি’চুক্তিটি কি ?
হাই সি হল আন্তর্জাতিক জলসীমা (International Water Border)। পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠভাগের অর্ধেকের বেশি ও সমুদ্রের ৬০ শতাংশের বেশি হাই সির অন্তর্ভুক্ত। যেখানে সব দেশের জাহাজ চালানো ও গবেষণার অধিকার রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের ফলে সমুদ্র ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এতদিন পর্যন্ত হাই সি এলাকার মাত্র ১ শতাংশ সংরক্ষিত ছিল। ‘হাই সিজ ট্রিটি’ চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সমুদ্রে মাছ ধরা, গভীর সমুদ্রে খনন ও জাহাজ চলাচলের পথ নির্ধারণের বিষয়গুলো সীমিত করা হবে। নতুন এই চুক্তি কার্যকর হলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সামুদ্রিক প্রাণী সুরক্ষার নির্দিষ্ট এলাকা গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনা পর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশবীরা এটিকে যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন।