কলকাতা: এগরা (Egra) বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হল আরও ১ জনের। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্র মাইতি (Rabindra Maity) (৩৮)। পিঙ্কি মাইতি সহ অন্যান্য রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে শুক্রবার সকালেই এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর জখম অবস্থায় বাইক করে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল ভানু। ওডিশার কটকের একটি হাসাপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অবৈধ বাজি খারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এগরার ঘটনার রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কী ভাবে পুলিশ প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলছিল বেআইনি বাজির ব্যবসা? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে পুলিশি অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ছয় দফার নির্দেশ জেলা পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটগুলির সিপিদের পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:Egra Incident | এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ভানু বাগের ছেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল সিআইডি
মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ জনের। বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ছিল ভানু। ঘটনার পর পুলিশের গ্রেফতারি এড়াতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাইকে চেপে সেখান থেকে ওডিশার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। সেখানে আসল কথা গোপন করে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে কটকের কাছে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে ভবানী ভবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছিল সিআইডি। এর মধ্যেই ভানু বাগের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভানুর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়নি।