রায়গঞ্জ: সিকিমে (Sikkim) কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ একই গ্রামের ৭ পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর (Uttardinajpur) জেলার গোয়ালপোখর ১ নম্বর ব্লকের পোখরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেনপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুমাস আগে সিকিমের লাচুং এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয়। এরপর আর তাঁদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে হাহাকার আর কান্নার শব্দ ভেসে উঠছে। পরিবার লোকজনের আশা, বাড়ির লোক সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরুক। বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসা হয়েছে। কবে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে চেনপুরের বাসিন্দারা। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে সিকিমের হড়পা বানে (Sikkim Flash Flood) মৃতের সংখ্যা ৫৬ ছাড়াল। একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে। সিকিম ও কালিম্পঙের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যস্ত। সেতু থেকে রাস্তা, তিস্তার রোষে অস্তিত্ব নেই কোনও কিছুর। সব ঢাকা পড়েছে কাদার তলায়। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখতে ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে অরূপ বিশ্বাসকে পাহাড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কালিম্পঙের উদ্দেশে রওনা দেবেন মন্ত্রী অরূপ। ইতিমধ্যে বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose) পাহাড়ের দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: আদিবাসী মহিলাকে কুপিয়ে খুন আলিপুরদুয়ারে
উত্তর সিকিমে (North Sikkim) আটকে ২৮০০ পর্যটক। সিকিম ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে তাঁদেরকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু আবহাওয়া খারাপ এই কারণে হেলিকপ্টার পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহূর্তে গ্যাংটক এমজি মার্কেটে (M. G. Market Gangtok) বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখান থেকেই উত্তর সিকিমে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটকদের উত্তর সিকিম থেকে মাঙ্গানে নিয়ে আসা হবে। এরপর সড়কপথে প্রত্যেককে শিলিগুড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ছাত্র-ছাত্রী ও আটকে রয়েছে। এই মুহূর্তে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছে সিকিম প্রশাসন।
আরও খবর দেখুন