মালদহ: বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ কাপড়ের ব্যবসায়ী (Cloth Businessman)। প্রায় দুদিন কেটে গেলেও সন্ধান মেলেনি তাঁর। দুশ্চিন্তায় পরিবারের লোকজন। অবশেষে পুলিশের (Police) দ্বারস্থ ব্যবসায়ীর বৃদ্ধ বাবা। এদিকে এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধারের ভয়াবহ স্মৃতি। স্বাভাবিকভাবেই এইভাবে দিনের আলোয় ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার অন্য ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কোরিয়ালির ভালুকা বাজারের বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার আগরওয়ালের একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। এলাকায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে সঞ্জয়ের। রবিবার বিকেলে সঞ্জয় বাড়ি থেকে পান খাওয়ার কথা বলে বাইরে যান। বাড়ির পাশেই পানের দোকান। তাই মোবাইল ফোনও নিয়ে যাননি। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ভালুকা রোড স্টেশনে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই পানের দোকানের মালিক জানান, সঞ্জয় পান খেতে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর সেখান থেকে কোথায় গিয়েছেন, তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন
পরিবারের দাবি, কোনও পারিবারিক ঝামেলা বা মানসিক অবসাদ ছিল না সঞ্জয়ের। ব্যবসা নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকতেন সারাদিন। সামনে পুজো, তাই এই মুহূর্তে ব্যস্ততা আরও বেশি ছিল। সোমবার পরিবারের তরফে ভালুকা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের আশঙ্কা, সঞ্জয়কে অপহরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ইটভাটার মালিকও একই ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।পরে বিহারের কাটিহারের বলরামপুর থানা এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে কারও কোন শত্রুতা ছিল না।কোন হুমকি বা মুক্তিপণ সংক্রান্ত ফোনও মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিবারের কাছে আসেনি। ভালুকা ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্যামসুন্দর সাহা বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা তদন্তে নেমে পড়েছি।
দেখুন আরও অন্য খবর: