দিনহাটা : অন্তত ৩০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে চলছিল গাঁজার চাষ। লাভের বড় অংশ ঢুকতে নেতাদের পকেটে। অভিযোগ, সেই টাকাতেই কেনা হত বোমা-বন্দুক।
কোচবিহারের দিনহাটার রুইয়ের কুঠিতে গাঁজার স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছিল মাদক কারবারিরা। ঘোষপাড়া কামদেবের পাট, উত্তরপাড়া সহ একাধিক জায়গায় সোমবার হানা দেয় পুলিশ। নষ্ট করা হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা গাছ।
দিনহাটার এসডিপিও ত্রিদিব সরকারের নেতৃত্বে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাগরাজ এবং দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা এই অভিযান চালান। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের পাশাপাশি বহিরাগতরাও ভেটাগুড়িতে গাঁজা চাষে যুক্ত। জমি লিজ নিয়ে চলছিল ওই চাষ। কারণ এতে মুনাফা অনেক বেশি।
ভেটাগুড়ি-১ পঞ্চায়েত চালায় বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের এলাকা এটি। সেখানে এভাবে দেদারে গাঁজা চাষ হচ্ছে কার ইন্ধনে? তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ এই কাজ করতে পারে না, এমনটাই দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। নিশীথের বিরুদ্ধে সমাজবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বরাবরই সরব শাসকদলের স্থানীয় নেতারা। তবে তাঁর খাসতালুকে এই গাঁজা চাষ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনা মহন্ত বলেন, আমরা চাই, এলাকায় যত গাঁজা গাছ আছে, সবটাই সাফ করে দেওয়া হোক। স্থানীয় মানুষ প্রশ্ন তুলছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশ এত দিন ঘুমাচ্ছিল কেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, নিশীথ প্রামাণিকের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমিতে গাঁজা চাষ হচ্ছে, আর তিনি কিছু জানেন না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেন বিষয়টি প্রশাসনকে জানাননি, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, এই ঘটনায় নিশীথ প্রামাণিকের নাম তুলে তৃণমূল বাজার গরম করতে চাইছে। পুলিশের এই অভিযানে খুশি এলাকার মানুষ।
আরও অন্য খবর দেখুন