কলকাতা: শিক্ষার মানোন্নয়নে রাজ্যে ২২০০ কোটি টাকার টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের অঙ্গ হিসেবে বুধবার সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের শিক্ষায় সমান অধিকার আছে। গত ১১ বছরে রাজ্যে ৫০০-র বেশি বেসরকারি স্কুল তৈরি হয়েছে এবং বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে উচ্চশিক্ষায়। করোনার সময় রাজ্য সরকার শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছে।
যাদবপুর, কলকাতা, বিদ্যাসাগর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘মউ’ বা সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। মোট ১৫টি ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিবাজিপ্রতিম বসু ছাড়াও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলার বেশ কিছু বেসরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ‘মউ’ স্বাক্ষর করে। জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেন এসএনইউ-র উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। এই চুক্তির ফলে বাংলার পড়ুয়াদের গবেষণার সুযোগ আরও বাড়বে। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যেমন বিভিন্ন দেশে গিয়ে গবেষণার কাজ করতে পারবেন, ঠিক তেমনই ভিনদেশের পড়ুয়ারা এখানে এসে কাজ করতে পারবেন। রাজ্যের পড়ুয়ারা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাপত্রও প্রকাশ করতে পারবেন।