জলপাইগুড়ি: ঝড়ের দাপটে তছনজ পরিস্থিতি জলপাইগুড়ির। রবিবার রাতেই সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাত সাড়ে ১০টায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁর পৌঁছনোর কথা। এদিকে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজভবন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজভবনে খোলা হয়েছে এমার্জেন্সি সেল। রাজ্যপালের এডিসি মেজর নিখিল কুমারকে এই সেলের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবরকম সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। সোমবার জলাপইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। কথা বলবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গেও। খোলা হচ্ছে পিস রুম। যে কোনও সহযোগিতার জন্য দিনে-রাতে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩-২২০০১৬৪১-এ ফোন করা যাবে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে ঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, মৃত ৪
জলপাইগুড়িতে ঝড়ে দাপটে মৃত্যু হল চার জনের। জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গায় ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। রবিবার দুপুরে খানিক সময়ের ঝড়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাধিক এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাস্তার পাশে থাকা একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের ডালে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। অন্যদিকে দোকান ও বিভিন্ন বাড়ির ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। প্রাণ হাতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন পথ চলতি স্থানীয়রা। ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন দ্বিজেন্দ্রনারায়ন সরকার (৫২), অনিমা রায় (৪৯), যোগেন রায় (৭০) সমর রায় (৬৪)।
এদিন দুপুরে থেকে দমকা হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয় জলপাইগুড়ি। গোশালা মোড় থেকে রংধামালি যাওয়ার রাস্তার গাছ পড়ে আটকে যায়। এদিকে গোশালা মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে একাধিক দোকানের টিনের চাল উড়ে যায়। একইসঙ্গে সেন পাড়ার গাছের ডালে চাপা পড়ে থাকা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দমকল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে ওই ব্যক্তির গায়ে পড়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।