কলকাতা: সোমবার কালীঘাটের কাকুর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে ইডির হানা (ED Raid)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন কলকাতার ভবানীপুর এবং নিউ আলিপুরের ঠিকানায় তল্লাশি চালাল ইডি। ভবানীপুরের লি রোডের আবাসনে থাকেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Kalighater Kaku Sujay Krishna Bhadra) মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায় এবং জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায়। ওই আবাসনেই হানা দেয় ইডি। আর নিউ আলিপুরের যেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি একটি সংস্থার অফিস। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, সেই সংস্থার নিয়ন্ত্রণের চাবি ছিল কালীঘাটের কাকুর হাতে। এছাড়াও এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের সাঁজুয়ায় হানা দেয় সিবিআই। এই সংস্থাটির সঙ্গেও সুজয়-যোগ রয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে একের পর এক প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। এই মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের মুখেও কালীঘাটের কাকুর নাম উঠে আসে। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে। আদালতে পেশ করা ১২৬ পাতা চার্জশিটে ইডি দাবি করেছিল, কালো টাকা সাদা করতে মেয়ে এবং জামাইকেও ব্যবহার করেছিলেন সুজয়।
আরও পড়ুন: ইডি-র জালে চিটফাণ্ড কর্তা বিশ্বপ্রিয়
ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, কালীঘাটের কাকুর নির্দেশে কোটি কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনে ছিল তাঁর জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায়। ফ্ল্যাটটি কিনতে সুজয়কৃষ্ণ জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ওয়েলথ উইজার্ড নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দুর্নীতির টাকায় ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল। এরপরই সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে এই হানা দিল ইডি। কালীঘাটের কাকুর সংস্থার টাকা ঢুকেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। সে কথা চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। এদিন ওই সংস্থার নিউ আলিপুর ও বিষ্ণপুরের অফিসে হানা ইডির।