বীরভূম: গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ দুই চালকলের মালিককে তলব করল ইডি। ৩০ নভেম্বর দিল্লিতে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। দুই চালকল মালিক সঞ্জীব মজুমদার ও সিদ্ধার্থ মণ্ডলকে ডেকে পাঠায় ইডি। সঞ্জীব মজুমদারকে আগেও সিবিআই একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই তাদেরকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে ইডি। পাশাপাশি দিল্লিতে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তাদের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠাড়ি সহ একাধিক ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এবার সেই তালিকায় নাম ঢুকল আরও দুই চালকল মালিকের।
লাভপুর এলাকার একাধিক রাইস মিল সহ কীর্ণাহারের একটি পেট্রোল পাম্পের মালিক সিদ্ধার্থ মণ্ডল। এক সময়ে কীর্ণাহার এলাকার একটি ধানের আড়তের মালিক ছিলেন সিদ্ধার্থ। ২০১১ সালে ক্ষমতা বদলের পর অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। কার্যত তারপরই তাঁর রকেট গতিতে উত্থান হয়। একে একে লাভপুর এলাকার দুটি রাইস মিল কিনে নেন তিনি। একটি রাইস মিল অন্য একজন ব্যবসায়ীর অংশীদারিত্বে তৈরি করেন সিদ্ধার্থ। কীর্ণাহার এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পও কিনে নেন তিনি। এবার সেই সিদ্ধার্থকেই কার্যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে।
আরও পড়ুন:Murshidabad: ভয়াবহ দুর্ঘটনা ফরাক্কায়, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত এক শিশু
অন্যদিকে ডাক পড়েছে আমোদপুরের তৃণমূল নেতা সঞ্জীব মজুমদারেরও। প্রথম জীবনে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও এক সময় অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন তিনি। আমোদপুর এলাকার বেশ কয়েকটি রাইসমিল হয় তাঁর নামে। আর কার্যত এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হাওয়ালা মারফৎ সঞ্জীব ও সিদ্ধার্থর কাছে পৌঁছত টাকা। কোথা থেকে আসত সেই টাকা? একজন সামান্য ধানের আড়তের মালিক থেকে কীভাবে তিন তিনটে রাইস মিল সহ একটি পেট্রোল পাম্পের মালিক হলেন সিদ্ধার্থ? তবে কি গরুপাচার মামলার টাকা খাটতো এই মিলগুলিতে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছে ইডি।