Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent NewsJagdeep Dhankar: ফের সংঘাতে রাজ্য-রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে চিঠি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Jagdeep Dhankar: ফের সংঘাতে রাজ্য-রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে চিঠি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Follow Us :

কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) চিঠি লিখলেন রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker Biman Banerjee) । একই অভিযোগ জানিয়ে তিনি আলাদা করে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও। চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের গোপন নথি ফাঁস করার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।

সূত্রের খবর, চিঠিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আটকে রাখছেন রাজ্যপাল। অধিবেশন ডাকা, না-ডাকা নিয়ে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করছেন। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো অধ্যক্ষের এই চিঠি ঘিরে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন বিধানসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যপাল।

হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলে রাজ্যপাল সই না-করায়, শেষ পর্যন্ত সেখানে পুরভোট করাতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অধ্যক্ষ এ জন্য সরাসরি রাজ্যপালের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। যদিও রাজ্যপাল অভিযোগ নস্যাত্ করে দাবি করেন, বিল পাসের জন্য রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দু’পক্ষের চাপানউতোরও হয়। শুধু এই বিলটিই নয়, রাজ্যের আরও অনেক বিলেই সই করেননি রাজ্যপাল।             

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার আগেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও নালিশ করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অনৈতিক ভাবে রাজ্যপাল বিধানসভার পরিষদীয় কাজে নাক গলাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিধানসভায় পাস হওয়া প্রয়োজনীয় জনস্বার্থের বিলগুলিও অকারণে আটকে রাখা হয়েছে বলে নালিশ করে এসেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, রাজ্যপালের আচরণ ও সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

দেশের সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষদের নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ভার্চুয়াল সভায় জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে তিনি নালিশ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘বিধানসভার ইতিহাসে কখনও কোনও রাজ্যপাল এমন এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে পরিষদীয় কাজকর্মে ও গরিব মানুষের স্বার্থে পাশ হওয়া বিল রুখতে হস্তক্ষেপ করেননি।’

পালটা চিঠিতে রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, কী ভাবে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা সত্ত্বেও বিধানসভায় গিয়ে গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছে৷ আবার এর পরবর্তী সময়ে বিধানসভায় গিয়েও তিনি অধ্যক্ষের দেখা পাননি৷ বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংবাদমাধ্যমে রাজ্যপালের বক্তব্যের সরাসরি সম্প্রচার করতে দেওয়া হয়নি বলেও জগদীপ ধনখড় উল্লেখ করেন। জরুরি অবস্থার সঙ্গে রাজ্যের তুলনাও টানেন রাজ্যপাল৷ সময়ের সঙ্গে সেই সংঘাত আরও তীব্রতর হয়েছে৷

RELATED ARTICLES

Most Popular