খেজুরি: খেজুরি (Khejuri) ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে (Panchayat Samiti) নটি স্থায়ী সমিতি বিজেপির (BJP) (ব্জপ দখলেই গেল। আদালতের নির্দেশে বুধবার খেজুরি থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে জেলাশাসকের দফতরে স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। এদিন জেলাশাসকের দফতরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ৫০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
স্থায়ী সমিতি নির্বাচনে অংশ নেন ২৪ জন। পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য ছাড়াও পঞ্চায়েতের প্রধান, স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ ভোট দেন। খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক, বিক্ষোভ অভিভাবকদের
প্রসঙ্গত, খাতায় কলমে শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তবে তাঁর সঙ্গে বিজেপির ওঠাবসা রয়েছে। গত বিধানসভা ভোটের সময় তাঁকে কাঁথিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই শাসকদল তৃণমূল বারবার খোঁচা দেয়, শিশির অধিকারী তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ১৫। বিজেপি পায় নটি এবং তৃণমূল পায় ছটি আসন। সমিতি গঠনের আগে বিজেপির দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তার ফলে তৃণমূলের সদস্য বেড়ে আট এবং বিজেপির সদস্য কমে সাত হয়। তৃণমূলের থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ৫ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা ছিল। কিন্তু সেদিন তুমুল গোলমাল হয় তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপির (BJP) মধ্যে। ব্যাপক বোমাবাজি চলে। সাংসদ শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) গাড়ি ভাঙচুর হয়। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই ওই হামলা করে। প্রশাসন স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
ওই হামলা নিয়ে শিশিরবাবু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আদালত নির্দেশ দেয়, স্থায়ী সমিতির নির্বাচন হবে ২০ সেপ্টেম্বর। তা করতে হবে জেলাশাসকের দফতরে। সেইমতোই এদিন জেলাশাসকের দফতরে স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। শিশিরবাবুর ছেলে তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, সাংসদ যেখানে ভোট দিয়েছেন, সেখানে প্রতীক ছিল না। তাই সেখানে ১৩-১০ ফলাফল হয়েছে। কংগ্রেস কার বিরোধিতা করেছে, জানি না।