দেগঙ্গা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলে কোনও ঝগড়া বরদাস্ত করা হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবীন এবং প্রবীণদের মিলেমিশেই কাজ করার কড়া বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা। বৃহস্পতিবার দেগঙ্গায় দলীয় সভায় কোন্দল আটকাতে ফের সরব হন তিনি। মমতা বলেন, ছোটো-বড় কেউ নিজে ঠিক করে না। দুর্দিনে যাঁরা মানুষের পাশে থাকবেন, তাঁরাই তৃণমূলে থাকবেন। সিনিয়র নেতাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তৃণমূলে থেকে নিজের সেবা নয়, মানুষের সেবা করতে হবে। কোনও কোনও এলাকায় অনেকে নিজেকে কেউকেটা বলে মনে করেন। কেউ যদি ভাবেন আমি বড় নেতা, সেটা করা যাবে না বলেও কড়া বার্তা দেন দলনেত্রী।
উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল বিধানসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে ২০২১ সালে। জেলার সংগঠন শক্তিশালী হলেও গোষ্ঠীকোন্দল এখানে তীব্র। তার মধ্যেই দলের প্রভাবশালী নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) এখন রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলে। এই প্রথম বালুকে ছাড়া জেলায় নেত্রী কোনও সভা করলেন। লোকসভা ভোটের আগে বালুর জেলমুক্তি হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। বালুহীন উত্তর ২৪ পরগনায় সংগঠন চালানোর জন্য মঞ্চ থেকেই একটি কোর কমিটি ঘোষণা করেন। তার চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে। জেলার একাধিক নেতা-মন্ত্রী ওই কমিটিতে রাখা হচ্ছে। ওই কমিটিকে প্রতি সাতদিন অন্তর তাঁর কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেন দলনেত্রী। তবে কোনও ওই কমিটিতে জেলার কোনও সাংসদকে রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপিকে তৃণমূলই শিক্ষা দেবে, আরও কেউ নয়, কাকে ইঙ্গিত মমতার?
লোকসভা ভোটের মুখে নেত্রী জেলার মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদদের জনসংযোগে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, নেতা-মন্ত্রীদের বেশি করে এলাকায় ঘুরতে হবে। দরকার হলে চায়ের দোকানে গিয়ে বসে থাকুন। পঞ্চায়েতের লোকজন গ্রামে যা, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। লোকসভা নির্বাচনের মুখে দলের মধ্যে যাতে কোনও ভেদাভেদ না থাকে, সেদিকেও নজর দিতে বলেন নেত্রী।
দেখুন আরও অন্য়ান্য খবর: