কলকাতা: একবালপুর কাণ্ডে (Ekbalpur Violence) সাত অভিযুক্তের নামে হুলিয়া জারি করল এনআইএ আদালত (NIA Court)। এই সাতজন একবালপুর হিংসার (Ekbalpur Violence) অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি এনআইএ আধিকারিকদের। এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল এনআইএ আদালত। তারা পলাতক বলেও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরও আত্মসমর্পণ করেনি তারা। এমনকী অভিযুক্তদের খোঁজে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমেও তল্লাশি চালায় এনআইএ। কিন্তু তাতেও ওই সাতজনের খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই অভিযুক্তরা অন্য কোনও রাজ্য বা বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই বুধবার এনআইএ (NIA)-র তরফে এই সাতজনের খোঁজ পেতে পুরস্কার ঘোষণা করা হল। তাদের নাম, কেস ডিটেল পোস্টার আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। যে বা যাঁরা এই পলাতকদের খোঁজ দিতে পারবেন তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেবেন গোয়েন্দারা। একজন অভিযুক্তর খোঁজ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার। মোট সাতজনের জন্য সাত লক্ষ টাকা ধার্য্য করেছে গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে খবর, এরপরও যদি ওই অভিযুক্তদের খোঁজ না পাওয়া যায় তাহলে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিতে পারে আদালত।
আরও পড়ুন: Kuntal Ghosh | এবার ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ কুন্তলের
প্রসঙ্গত,লক্ষ্মীপুজোর রাতে একবালপুর, মোমিনপুর প্রভৃতি এলাকায় গোলামাল হয়। বিজেপি এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। আদালত জানায়, এনআইএ তদন্ত হবে কি না, তা সরকার ঠিক করবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন। সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার দাবি করেছিলেন, ঘটনার পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।