নয়াদিল্লি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari Case) কলকাতা হাইকোর্ট যে রক্ষাকবচ দিয়েছে, তা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের এই আবেদনকে গুরুত্বই দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ফলে, হাইকোর্টের রক্ষাকবচ বহাল থাকল। এদিন সুপ্রিম (Suvendu Adhikari Case) সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা ছিল৷ সেই মামলাগুলিতে গ্রেফতার হতে পারেন আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে আগাম রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ শুভেন্দুর আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, পাঁচটি মামলার মধ্যে দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলা এবং মানিকতলা থানায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত পুলিস করতে পারবে৷
বাকি তিনটি মামলার ক্ষেত্রে তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের হলে, সে ক্ষেত্রেও বিরোধিতা দলনেতাকে গ্রেফতার করতে হলে, আগে আদালতের অনুমতি হবে৷ সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য৷
আরও পড়ুন: Kashi Vishwanath Corridor: ঔরঙ্গজেব কাশী এলে শিবাজী রুখে দাঁড়াতেন, দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির
ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানতে চায়, শুভেন্দু অধিকারীকে কেন রক্ষাকবচ দেওয়া হল? বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসং ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদনই খারিজ করে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে দেয়৷ সেই আবেদন মামলায় এ বার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পাঁশকুড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে৷ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ও টাকা নেওয়ার অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে। প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এই সমস্ত মামলাগুলিতে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল৷