কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরের করোনার ধাক্কা কাটিয়ে শৈশব ফিরে পেতে স্কুলমুখী হতে চলেছে সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের পড়ুয়ারা । চেনা ছন্দে ফিরে স্কুল প্রাঙ্গণে পড়ুয়াদের কোলাহল শোনার জন্য উদগ্রীব শিক্ষকরাও। খুশির হাওয়া সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে। প্রত্যেকটি স্কুলেই কোভিড বিধি মেনে স্কুল পরিষ্কার করার কাজ চলছে। কারণ আগামিকাল, ২৭ জুন খুলছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে পুনরায় প্রায় দুই মাসের গরমের ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার।
একদিকে পড়ুয়ারা যেমন নিজেদের সহপাঠীদের সাথে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন অন্যদিকে শিক্ষকরা প্রহর গুনছেন স্কুলের চেনা সেই পড়ুয়াদের কোলাহল শোনার জন্য। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হাড়োয়া, মিনাখাঁ ও হাসনাবাদের মতো ৬টি ব্লক সহ বসিরহাট ১, বাদুড়িয়া ও স্বরূপনগরের মত সীমান্তবর্তী ব্লকে রয়েছে প্রায় ১২৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫টি জুনিয়র হাই স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ১২৪টি, হাই স্কুলের সংখ্যা রয়েছে ১১৮টি ও সরকারি মাদ্রাসা রয়েছে ৩০টি। সেগুলি আগামিকাল ২৭শে জুন সোমবার থেকে খুলতে চলেছে। যার ফলে আবার স্কুলমুখী হবে মহকুমার প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ শিক্ষার্থী।
কিন্তু চিন্তার বিষয়, ইতিমধ্যে দেশে করোনা সংক্রমনের হার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাই স্বভাবতই চিন্তায় রয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। রাজের শিক্ষাসচিব স্কুলগুলিতে করোনা মোকাবিলার জন্য কোভিডের নিয়মাবলী মেনে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (শিক্ষা)দের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সরাসরি জেলা শাসককে। তাই প্রত্যেকটি স্কুলেই কোভিড বিধি মেনে স্কুল পরিষ্কার করার কাজ চলছে। বিভিন্ন স্কুলে গেলে দেখা যাচ্ছে কোথাও চলছে স্যানিটাইজেশন আবার কোথাও ধুলো জমা বেঞ্চ গুলিকে ঝাঁড় দেওয়া ও মোছার কাজ চলছে। পাশাপাশি শৌচালয় থেকে শুরু করে স্কুল প্রাঙ্গনে যেখানে যেখানে ময়লা আবর্জনা জমে রয়েছে সেগুলিকে পরিষ্কার করার ছবি। এই সমস্ত কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন Sudip Roy Barman: আগরতলায় বিজেপিকে উড়িয়ে জিতলেন কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন