নওদা: নওদায় তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুজন। নদিয়ার থানার পাড়া এলাকার আসান শেখ এবং মুরুটিয়া থানার কিতাব মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করল নওদা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যেবেলায় মুর্শিদাবাদ থেকে নদিয়ার বাড়ি যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। ওই ঘটনায় পরের দিন তৃণমূল নেতার স্ত্রী রিনা বিশ্বাস ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নওদা থানায়। সেই তদন্ত নেমে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার মতিরুল খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহা ভৌমিকের সঙ্গে একইমঞ্চে দেখা যায় রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়েরও। যা নিয়ে ইতিমধ্যে দলের অন্দরেই বিতর্ক শুরু রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মতিরুলের পরিবারের তরফে নওদা তৃণমূল ব্লক সভাপতি শফিউর জামান ওরফে হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ করে মতিরুলের স্ত্রী। পুলিশ প্রয়োজনীয় তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তোলেন মতিরুলের স্ত্রী রীণা খাতুন বিশ্বাস। বুধবার বিধানসভায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মতিরুলের স্ত্রী নারায়ণপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি জানান, খালেক কবিরাজ ওরফে রাজকুমার, পিঙ্কু মণ্ডল, হাবিব শেখদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা এই খুনের ঘটনায় জড়িত আছে। ঘটনায় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।