কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রচার মাধ্যমে শিরোনামে এসেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কখনও চড়াম চড়াম, কখনও জল বাতাসা দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন তিনি। একাধিকবার ভোটের (WB Civic Polls) আগে বিরোধীদের উদ্দেশে খেলা হবে বলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন। তাই নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। রবিবারের পুরভোটেও তাঁর কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের নকুলদানা, বাতাসা দিয়ে প্রভাবিত করে অভিযোগ উঠেছে।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেষ্টদার তরফে নকুলদানা ও বাতাসা দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের বলে অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। বোলপুর পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তাপসী বাউড়ি ও তাঁর কর্মীরা নকুলদানা ও বাতাসা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
মেদিনীপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী কুহেলি দত্তের টেন্ট অফিস পোড়ানোর অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
খড়্গপুর তালবাগিচা হাই স্কুল বুথে বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মোবাইল নিয়ে ভেতরে ঢুকছেন ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে ওই বুথে পোলিং এজেন্ট থেকে শুরু করে ভোটাররা মোবাইল নিয়েই ঢুকছেন ভোট দিতে। অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। হিরণের অভিযোগে নড়চড়ে বসে প্রিসাইডিং অফিসার। বেশ কিছু মোবাইল সিজ করা হয়। যদিও তৃণমূল প্রার্থী জহর পাল জানিয়েছেন, মিডিয়াতে নিজেকে প্রচারের আলোয় আনতে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ আনছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
সোনামুখী পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডে উত্তেজনা। বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অশান্তি ঠেকাতে লাঠি হাতে তেড়ে এলেন এলাকার মানুষ। নির্দল প্রার্থী শুভ্রা রায়ের অভিযোগ, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখছে তৃণমূলের কর্মীরা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী বাবলি গোস্বামী।
দুবরাজপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা অভিযোগ। বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মেদিনীপুর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে নজর রাখতে পুলিশের ড্রোন নজরদারি শুরু হলো বেলা দশটার পর। পুলিসের টহল ছাড়াও আকাশপথে নজরদারি চালিয়ে বহিরাগতদের জমায়েত হটানোর চেষ্টা করছে পুলিস। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত জমায়েতের অভিযোগ এসেছিল। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর পুলিস। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান ঘোষ ছাড়াও ডিএসপি ও অন্যান্য পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়ে পুলিশের টহল শুরু হয়।