skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
Homeচতুর্থ স্তম্ভচতুর্থ স্তম্ভ: গ্রান্ড ওল্ড পার্টি

চতুর্থ স্তম্ভ: গ্রান্ড ওল্ড পার্টি

Follow Us :

জি ও পি, গ্রান্ড ওল্ড পার্টি, ১৮৫৪তে অ্যামেরিকায় রিপাবলিকান পার্টি তৈরি হয়েছিল, নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন হাতি, মাত্র ৬ বছরের মধ্যেই রিপাবলিকান দল পেল তাদের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, আব্রাহাম লিঙ্কন। আমাদের দেশে ১৮৮৫তে তৈরি হল জাতীয় কংগ্রেস, অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, দাদাভাই নৌরজি ইত্যদিদের নেতৃত্বে, স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে এই দল, স্বাধীনতার পরে ৪৭ এ, জাতীয় কংগ্রেসের নেতা নেহেরু হলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

দলের প্রতীক চিহ্ন, রিপাব্লিকান পার্টির মত একই থেকে যায় নি, জোড়া বলদ থেকে গাই বাছুর, সেখান থেকে হাত। হ্যাঁ হাতি নয়, হাত। আমাদের দেশের গ্রান্ড ওল্ড পার্টি। বহুবার ভেঙেছে, বহুবার তার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে, নেতা বদলেছে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে, কোর ভোটার বেস, মানে যারা কংগ্রেসকে ভোট দেয়, সেই ভোটার বেস বদলে গেছে, ১৮৮৫র ভারতের জাতীয় কংগ্রেস আজ দেশের গ্রান্ড ওল্ড পার্টি, অনেক কিছু বদলালেও, এ দল এখনও জাতীয়তাবাদী, এ দল এখনও ধর্মনিরপেক্ষতাতে বিশ্বাসী, ন্যাশানালিস্ট অ্যান্ড সেকুলার।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক এক দলকে, গান্ধীজি গ্রাম স্বরাজের পাঠ দিয়েছিলেন, স্বনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতির শিক্ষা দিয়েছিলেন, গ্রামেই আছে ভারতের বিকাশের চাবিকাঠি, বুঝিয়েছিলেন, কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পরেই জাতীয় কংগ্রেসের দিশা বদলে দিলেন নেহেরু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহর লাল নেহেরু। গ্রান্ড ওল্ড পার্টি তখন সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজের, স্যোশালিস্টিক প্যাটার্ন অফ সোসাইটির স্বপ্ন দেখছে, কেবল স্বপ্ন নয়, সোভিয়েত ধাঁচের পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনা, ভারী শিল্প, বিদ্যুৎ, ফার্স্ট জেনারেশন কমপিউটার, আরও কত কি।

না গ্রাম স্বরাজ নয়, সে গান্ধীবুড়ো তার আগেই চিতায় বিলীন, কারেন্সি নোটেই তেনার অস্তিত্ব। প্রথম দিন থেকেই নেহেরু চিহ্নিত করেছিলেন, হিন্দু মহাসভা, জনসঙ্ঘ, আর এস এসকে। তাঁর লেখায় বার বার বলেছিলেন দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন হবে, হতে পারে এদের হাতে। এ দেশের কমিউনিস্টদের তিনি হামবাগ মনে করতেন, জনবিচ্ছিন্ন মনে করতেন, কমিউনিস্টদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অম্ল মধুর, কিছু নেতার সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক, কোনও কোনও নেতা সম্পর্কে তিক্ত ধারণা, কিন্তু হিন্দু মহাসভা, আর এস এস বা জনসঙ্ঘ নিয়ে তাঁর কোনও ধোঁয়াসা ছিল না, তাদের এক কমিউনাল, গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী দর্শন যে দেশের সামনে এক বিরাট বিপদ, তা নিয়ে তাঁর অন্তত কোনও সন্দেহ ছিল না, গান্ধী হত্যার পরেই তিনি এই শক্তিকে সমূলে নাশ করতে পারতেন, তা করেন নি, পাশ্চাত্যের গণতান্ত্রিক ধ্যান ধারণা তাঁর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল, সেটাই ছিল তাঁর কারণ, আর তাই আর এস এস বা হিন্দু মহাসভা ব্যান করেও তুলে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন –চতুর্থ স্তম্ভ : অবুঝ জনতা না নির্বোধ প্রধানমন্ত্রী?

ওদিকে সেই প্রথম থেকেই, আর এস এস বা জনসঙ্ঘ কিন্তু তাদের শত্রু চিনতে ভুল করেনি, কংগ্রেসমুক্ত ভারত ছিল তাদের স্বপ্ন। কিন্তু তাদের স্বপ্ন, তাদের নিজেদের জোরে সাকার করার সামর্থ তাদের ছিল না, তারা সময় আর সুযোগের জন্য বসেছিল। ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় এসেই এই বিপদকে বুঝতে পেরেছিলেন, কংগ্রেসের মধ্যের হিন্দুত্ববাদী শক্তি, আর বাইরের শক্তির অস্তিত্ব টের পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি বাবার কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেন নি, বেসামাল হয়েই জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিলেন দেশের ওপর, আর এস এস, জনসঙ্ঘ এই সুযোগের জন্যই বসেছিল, সোশ্যালিস্ট, লোহিয়াইটস, রিজিওনাল পার্টি তো বটেই, এমন কি কমিউনিস্টরাও এক অর্থে ঐ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রাসঙ্গিক করে তুললো, বালাসাহেব দেওরস থেকে আদবানি, বাজপেয়ী সামনের সারিতে চলে এলেন, পাশে মোরারজি দেশাই, লোহিয়ার শিষ্য মুল্লায়ম, লালু, নিতীশ, সমাজতন্ত্রী জর্জ ফার্ণান্ডেজের সঙ্গে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই, এই লড়াই তাদেরকে ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে জায়গা দিল, পরিচিতি দিল।

জরুরী অবস্থার পরেও কংগ্রেসের ফিরে আসা, ইন্দিরা গান্ধী হত্যা, আবার তাদেরকে কিছুটা পিছু হটানোর মুখেই বোফর্স, আবার কমিউনিস্ট, সোশ্যালিস্ট আর রিজিওনাল পার্টির সঙ্গে, ততদিনে আর এস এস এর পলিটিকাল উইং বিজেপির জোট, সরকার তৈরি। শেষ চেষ্টা আবার হল, গ্রান্ড ওল্ড পার্টির সরকার আবার এল, এবার নরসিমহা রাও, পুরনো অর্থনৈতিক আদর্শ ইত্যাদি ঝেড়ে ফ্যালা শুরুই হয়েছিল, রাজীব গান্ধীর সময়ে, এবার কংগ্রেসের যাবতীয় সমাজতন্ত্রিক ধ্যান ধারণার কাঁথায় আগুন দিয়ে উদার অর্থনীতি, খোলা বাজার এসে গ্যালো, কংগ্রেস তার আদর্শ থেকে সরছে, অন্যদিকে আর এস এস – বিজেপি, তাদের হিন্দুত্বের তাস এবারে খুল্লম খুল্লা সামনে আনল, রাম মন্দির, রথ যাত্রা আর বাবরি মসজিদ ভাঙা দিয়ে সেই প্রথম বৃত্ত তৈরি হল, দ্বিতীয় বৃত্ত গোধরা পরবর্তি গুজরাটের দাঙ্গা আর হিন্দু হৃদয় সম্রাট নরেন্দ্র মোদীর উঠে আসা, দুটো প্রধান কর্মসূচি।

প্রথম হল হিন্দু রাষ্ট্র, দ্বিতীয় কংগ্রেস মুক্ত ভারত। প্রথম দিন থেকেই আর এস এস বুঝেছিল, তাদের ক্ষমতায় আসতে হলে মূল লড়াইটা লড়তে হবে কংগ্রেসের সঙ্গে, তারা বিরোধীদের দিয়েই, সমাজতন্ত্রীদের দিয়ে, কমিউনিস্টদের দিয়ে সেই কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে, এখন সেই কংগ্রেসের অবশিষ্টকেও তারা মুছে দিতে চায়।

আরও পড়ুন – চতুর্থ স্তম্ভ : রাষ্ট্র, গণতন্ত্র, নির্বাচন

তারা তো চায়, কংগ্রেস কী চায়? লাখ টাকার প্রশ্ন সেটাই। এই বিরাট শক্তিশালী, অজস্র ছোট ছোট সংগঠনের সাহায্য নিয়ে, সরকারি ক্ষমতা আর কর্পোরেট শক্তির সাহায্য নিয়ে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করতে থাকা, আর এস এস – বিজেপির জয়রথকে থামানোর জন্য কংগ্রেস কী করছে? খেয়াল করুন, এমনকি স্বাধীনতার আগেও কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করার ইতিহাস কম ছিল না, কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই অসফল, সুভাষ চন্দ্র বসু কিছুটা সফল, আরও সফল হতে পারতেন, কিন্তু তিনি চলে গেলেন দেশের বাইরে, স্বাধীনতার পরেও বহু চেষ্টা হয়েছে, অসফল চেষ্টা। কিন্তু গত ২০/২৫ বছরে দেশে অন্তত তিনটে রাজনৈতিক দল তৈরি হয়ে গ্যালো, যাদের শেকড় ছিল কংগ্রেসে, তৃণমূল, এন সি পি, ওয়াই এস আর কংগ্রেস। তিনজনই সফল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো রাজ্যে কংগ্রেসকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছেন, জগন রেড্ডির অন্ধ্রে কংগ্রেস তিন নম্বরে, মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের হাত ধরে কংগ্রেস তিন নম্বর ভাই, উত্তর প্রদেশে চার নম্বরে, বিহারে চার নম্বরে, উড়িষ্যাতে তিন নম্বরে, কর্ণাটকে তিন নম্বরে, তামিলনাড়ুতে তিন নম্বরে, তেলেঙ্গানায় তিন নম্বরে, কাশ্মীরে চার নম্বরে, ত্রিপুরাতে দুই থেকে আপাতত তিনে, মেঘালয়েও তাই, দিল্লি, দেশের রাজধানীতে, কংগ্রেস নেই বললেই ভাল হয়।

বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই হয়েছে, ১০০ তে ৯২ টা আসন বিজেপির হাতে গেছে, মানে বিজেপির স্ট্রাইক রেট ৯২। আর অন্যান্য দলের সামনে বিজেপির স্ট্রাইক রেট ৭০, এটা কিছুদিন আগের ছবি। ২০১৯ এ, ১৯০ টা আসনে বিজেপি কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই হয়েছিল, ১৫ টা আসন জিতেছিল কংগ্রেস, ১৭৫ টা আসনে বিজেপি। ১৯৯৯ এ কংগ্রেস জিতেছিল ১১৪ টা আসনে, ২০১৯ এ ৫২ জন সাংসদ। ১৯৯৯ এ কংগ্রেসের ভোট ছিল ২৮%, ২০১৯ এ ২০%।

কংগ্রেস থেকে সুস্মিতা দেব, কীর্তি আজাদ, লুইজিন ফেলেইরো, মুকুল সাংমারা চলে আসছেন তৃণমূলে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতিন প্রসাদের মত তরুণ নেতারা চলে গেছেন বিজেপিতে, হিসেব বলছে, ২০১৪-২০১৯ এর ভেতরে ১৭৭ জন এম পি বা এম এল এ, কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে গেছেন, তার সিংহ ভাগই গেছেন বিজেপিতে। মানে কংগ্রেস ছেড়ে যারা গেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ বিজেপিতে জায়গা পেয়েছেন, অর্থাৎ কংগ্রেস ভাঙছে, তাতে সবচেয়ে বেশি লাভবান কিন্তু বিজেপি, এবং অত্যন্ত বোকা হলেও যে কেউ বুঝতে পারবে যে অন্যান্য দল যদি কংগ্রেসের সঙ্গেই জোটে থাকতো, তাহলে যারা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল, সিপিএম বা বি এস পি বা সমাজবাদী পার্টিতে গেলেন, তাঁরা যেতেন বিজেপিতে। কাজেই কংগ্রেসের ভাঙনের প্রক্রিয়ার জন্য, কংগ্রেসেরই অভ্যন্তরীণ সমস্যা দায়ী, বাইরের শক্তি কেবল তাকে ত্বরাণ্বিত করছে মাত্র।

তাকিয়ে দেখুন জি ২৩ এর দিকে, মাত্র গত কাল গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, রাহুল প্রিয়াঙ্কার দলের প্রবীণদের কথা শোনার সময় নেই, ধৈর্যও নেই। ২০১৯ এর পর থেকে দলের নির্বাচিত সভাপতি নেই, কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী, তিনি অসুস্থ। কংগ্রেস নেতারা বাড়িতে বসে টুইট করছেন, লখিমপুর খেরি ছাড়া অন্য কোথাও তাঁদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এসব বাস্তব, আবার এটাও বাস্তব যে কংগ্রেসের কাছে সলিড ২০% ভোট আছে, অনেক কম, বিজেপির অর্ধেক, কিন্তু একমাত্র কংগ্রেসের কাছেই সেই ২০% ভোট আছে। অন্যদের বাড়ছে, কিন্তু কত? তৃণমূলের ৪%, বি এস পি র ৪%, এস পি র ৩%, সিপিএম, সিপিআই এর ২%, শিব সেনা, টিডিপির ২% করে, এন সিপির ১%, আপ এর ০.৪%। তাহলে? কংগ্রেস কমবে? হ্যাঁ আরও কমবে, কিন্তু কত? বাকিরা বাড়বে? বাড়বে।কিন্তু কত? এইখানে এসেই বিজেপির চওড়া হাসি, বিজেপির ইচ্ছাপূরণ। এইখানে এসেই, আমাদের দেশের রাজনীতি এক বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে, কংগ্রেস কী করবে? তাদের প্রবীণ নেতারা কী করবে? অন্যান্য দল কী করবে? তৃণমূল কী করবে?

মনে পড়ে যাবেই সেই বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী কৃষক পিতার কথা, যিনি তাঁর চার ছেলেকে ডেকে ১ টা করে কাঠি ভাঙ্গতে বলেছিলেন, তারপরে ১ বান্ডিল কাঠি ভাঙতে বলা, গল্পের মরাল, ঐক্যবদ্ধ হলে প্রবল শক্তিশালীকেও হারানো যায়, সবাই পড়েছেন, কিন্তু মনে কজন রেখেছেন? আত্মস্থ কতজন করেছেন? আর এস এস বিজেপি কিন্তু পড়েছে, আত্মস্থও করেছে, আর তাই তারা কংগ্রেসকে একলা দেখতে চায়, প্রত্যেকটা বিরোধী দলকে একলা দেখতে চায়, ঐক্যবদ্ধ নয়, ওদিকে মানুষ কিন্তু ঐক্যবদ্ধ, বিরাট চাপের সামনেও তাঁরা মাথা নোয়ান নি, নোয়াবেন না। অযুত মানুষের মিছিল, সমাবেশ আর আন্দোলন তো সেই কথাই বলছে। বিরোধী মানুষ জানেন তাঁদের কী করতে হবে, বিরোধী দলের নেতারা কি সেটা জানেন?

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Amit Shah | এই সাংসদ কী এমন বললেন? অমিত শাহ তেতে গেলেন
00:00
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | সংসদে অভিষেকের এই বক্তব্য শুনেছেন? চর্চা চলছে সব জায়গায়
00:00
Video thumbnail
Amit Shah | এই সাংসদ কী এমন বললেন? অমিত শাহ তেতে গেলেন
11:32:36
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | সংসদে অভিষেকের এই বক্তব্য শুনেছেন? চর্চা চলছে সব জায়গায়
11:36:11
Video thumbnail
বাংলা বলছে | 'নীতি-বৈঠকে' বাংলা ভাগ নিয়ে সোচ্চার মমতা, সাংসদদের বৈঠকে বাজেট-অধিবেশনের ক্লাস নেত্রীর
10:28:41
Video thumbnail
Yogi Adityanath | ইউপি বিজেপিতে হইচই! দিল্লি গেলেন যোগী
11:32:41
Video thumbnail
Mamata Banerjee | কংগ্রেস আগে বললে ভালো হত! কেন এই কথা মমতার মুখে?
11:31:41
Video thumbnail
Narod Narod (নারদ নারদ) | জামালের বাড়িতে গোপন ট্যাঙ্কের হদিশ, উদ্ধার একাধিক নথি
11:05:51
Video thumbnail
BJP West Bengal | রাজ্যে গ্রেফতার বিজেপি নেতা, হুলস্থুল কাণ্ড
10:38:40
Video thumbnail
Suvendu Adhikari | পথে নেমে বিরাট হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর! শুনুন কী বললেন
01:02:56