শান্তিনিকেতন: করোনার (COVID-19) তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) ছোবলে প্রাণহীন শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) সোনাঝুরি (Sonajhuri) শনিবারের খোয়াই হাট। শুনশান গোটা এলাকা। চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় বাউল হাটের প্রায় হাজার বারশো ব্যবসায়ী। কবে আবার নতুন সূর্যোদয় হবে খোয়াই হাটে, সেদিকেই তাকিয়ে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় মানুষজন।
রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শান্তিনিকেতন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি এই লাল মাটির দেশ। পর্যটকদের কাছে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় সোনাঝুরির শনিবারের খোয়াই হাট। প্রতি শনিবার মানেই জমজমাট সোনাঝুরি অঞ্চল। একদিকে বাউলের সুরে মুখরিত হত হাট প্রাঙ্গণ। অন্যদিকে আদিবাসীদের ধামসা মাদলের নৃত্যে কোমর দোলাতেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।
![sonajhuri](https://kolkatatv.org/wp-content/uploads/2022/01/New-Project-19-300x157.jpg)
আরও পড়ুন : লকডাউনে তার ছিঁড়েছে শান্তিনিকেতনের বাউলের
সেই চেনা ছবিটাই এখন আর দেখা যায় না। রবি ঠাকুরের প্রিয় জায়গা সোনাঝুরি অঞ্চল এখন শুধুই শূন্যতা। খাঁ খাঁ করছে এলাকা। কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আর এই সব কিছুর মূলে রয়েছে করোনা ভাইরাস। রাজ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতনে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় প্রশাসনের তরফ থেকে খোয়াই হাট বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে সোনাঝুরির শনিবারের শিল্পীহাট। ফলে চূড়ান্ত খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে এই হাটের প্রায় হাজারজন ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারের। কবে আবার সংক্রমণ কমবে ? কবে আবার নতুন করে হাটের দ্বার খুলবে, তার সদুত্তর নেই কারও কাছে। চিন্তিত ব্যবসায়ীরাও। কবে তাঁরা সোনাঝুরির শিল্পী হাটে নিজেদের পসার সাজিয়ে বসবেন, সেদিকেই তাকিয়ে রবিতীর্থ লালমাটির দেশের মানুষজন।