Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাMamata Banerjee: মাথা কেটে নিলেও ডিএ দিতে পারব না, স্পষ্ট কথা মুখ্যমন্ত্রীর 

Mamata Banerjee: মাথা কেটে নিলেও ডিএ দিতে পারব না, স্পষ্ট কথা মুখ্যমন্ত্রীর 

Follow Us :

কলকাতা: মাথা কেটে নিলেও আর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Govt Employee) ডিএ (DA) দিতে পারবেন না বলে বিধানসভায় (Assembly) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার বিধানসভায় তিনি বলেন, ডিএ দেওয়ার আর ক্ষমতা নেই সরকারের। ডিএ দেওয়ার মতো টাকাও নেই। 

এর জন্য রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের (Central Govt) বঞ্চনাকেই দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবাসন, রাস্তা, একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minority) বৃত্তির (Scholarship) টাকাও বন্ধ করে দিচ্ছে কেন্দ্র। এই সব প্রকল্পের (Project) খরচ জোগাতে গিয়ে রাজ্য কোষাগার শূন্য হয়ে যাচ্ছে। 

ডিএর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে (Salary Structure) ফারাক (Deference) আছে। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এই মুহূর্তে ১০৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। এ রাজ্যের কর্মচারীদের বাড়তি ছুটি, বিদেশ ভ্রমণ-সহ যে সব সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়, তা অন্য কোনও রাজ্যের সরকারি কর্মীরা পান না। একাধিক রাজ্য তাদের কর্মীদের পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা পেনশন বন্ধ করে দিলে সরকারের ২০ হাজার টাকা সাশ্রয় হত। কিন্তু মানবিক কারণে রাজ্য সরকার সেই পথে হাঁটেনি।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আর কত চাই, সাধ্যমতো করেছি, এর বেশি আর পারব না, ডিএ নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী 

এদিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শহীদ মিনার ময়দানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের অবস্থান আন্দোলনস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপির বহু বিধায়ককে নিয়ে। তিনি সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দেন। পরে বিধানসভার লবিতে শুভেন্দু বলেন, ডিএ মুখ্যমন্ত্রীকে দিতেই হবে। ডিএ না দিয়ে তিনি পালাতে পারবেন না। আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও এদিন ময়দানে ওই অবস্থান মঞ্চে যান। তিনিও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আছেন বলে জানান। একই সঙ্গে নওশাদ অনশনকারীদের উদ্দেশে বলেন, দয়া করে কেউ অনশন করতে গিয়ে স্যান্ডউইচ কিংবা ক্যাডবেরি খাবেন না। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলায় ২১ দিনের অনশন চলার সময় রাতে স্যান্ডউইচ, ক্যাডবেরি ইত্যাদি খেতেন বলেন দলেরই কেউ কেউ অভিযোগ করেছিলেন। 

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডিএর দাবিতে ১০ মার্চ সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা সেই কর্মবিরতির ডাককে সমর্থন জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার কর্মবিরতি রুখতে বদ্ধপরিকর। তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি তথা জলসম্পদ অনুসন্ধান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সোমবার বলেন, ফেডারেশন এই কর্মবিরতি করতে দেবে না। যাঁরা কর্মবিরতি করবেন, তাঁদের ফেডারেশন চিহ্নিত করে রাখবে বলেও মন্ত্রী হুমকি দেন। অন্যদিকে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতারা দাবি করেন, ১০ মার্চ ঐতিহাসিক কর্মবিরতি হবে। সিপিএম প্রভাবিত রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটিও এই কর্মবিরতিকে সমর্থন করছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular