কেতুগ্রাম: আগামী ২৯ মার্চ যুব তৃণমূল (TMC) ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) ডাকে শহীদ মিনারের সামনে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই সবায় প্রধান বক্ত সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সভার প্রস্তুতিতে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে বৈঠক করছেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা। শনিবার কেতুগ্রামে (Ketugram) কেতুগ্রামের তৃণমূলের সভামঞ্চে বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের উপস্থিতিতে শোরগোল বিরোধী দলের নেতাদের।
কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির তরফে একটি সভাঘর নির্মাণ করা হয়। এই সভাঘরে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠীত হত। শনিবার সেখানে দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে রাজনৈতিক দল তৃণমূলের (TMC) কর্মসূচি হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল কেতুগ্রাম এক নম্বরের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, বর্ধমান (Burdwan) জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রাজবিহারী হালদার। তাঁদের পাশেই বসে রয়েছেন বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল।
আরও পড়ুন: Tiljala Incident | নবরাত্রিতে নরবলি, স্ত্রীর সন্তানলাভে শিশুকন্যা খুন তান্ত্রিকের নির্দেশে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সভা হয়েছিল যুব তৃণমূল এবং টিএমসিপির তরফে শহীদ মিনারে জনসভার প্রস্তুতির কারণে। ওই সভায় উপস্থিত ছিল প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরাও। সভাপতির পিছনে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে শহীদ মিনার চলো। এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছে বিধায়ক ও তৃণমূলের যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদারের পাশে কেতুগ্রামের এক নম্বর বিডিও। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসীচিতে কেন বিডিও উপস্থিত থাকবে। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শাসকদলের দাবি সভা প্রস্তুতিতে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় তা পর্যালোচনার জন্যই বিডিও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য তৃণমূলের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বিডিও-কে উপস্থিত থাকাতে পারেন না। এই বিতর্ককে ঘিরে বর্ধমান জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।