নয়াদিল্লি: অনুব্রত (Anubrata Mondal)-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) আরও ২ মাস তিহারে জেলে থাকতে হচ্ছে। শুক্রবার সুকন্যার জামিন মামলাটি ওঠে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে (Delhi Rouse Avenue Court)। বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১২ জুলাই পর্যন্ত সুকন্যাকে ফের জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন। আগেই অনুব্রত মণ্ডল ও অন্যান্যদের ১২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত। এবার কেষ্ট-কন্যার জেল হেফাজতের মেয়াদও বাড়ল। মেয়ের জামিনের জন্য আগেই ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু সব প্রার্থনাই বিফলে গেল।
গরু পাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই একই মামলায় পড়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। বাবার মতো তিহারেই ঠাঁই হয়েছে সুকন্যার। গত শনিবার জেলে মেয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর কার্যত ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূলের এই নেতাকে। তারপরই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভগবান যেন মেয়েটার জামিন দেন।
শুক্রবার সুকন্যা মণ্ডলের ১২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সুকন্যাকে জেরা করা প্রয়োজন বলেও আদালতে জানিয়েছে ইডি। এর আগে সুকন্যাকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ২০৩ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে অনুব্রতর বিরুদ্ধে নানা বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে। হাতিয়ার করা হয়েছে কন্যা সুকন্যার বয়ানকে। সুকন্যাকে জেরা করে ইডি জানতে পারে, চেকবুকে তাঁর বাবাই তাঁকে সই করতে বলতেন। অনুব্রতের নামে ও বেনামে যে সমস্ত জমি পাওয়া গিয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ইডির আরও দাবি, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে প্রায় ১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি মিলেছে। গরু পাচারে তাঁর মেয়ে সুকন্যার ভূমিকা রয়েছে বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।