জলপাইগুড়ি: কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Sitalkuchi Firing) ভোটের দিন গুলি চালানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) ৬ জওয়ানকে বেশ কয়েকবার তলব করেছে সিআইডি। প্রতিবারই তাঁরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন। এ বার আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে গেলেন ৬ আধাসেনা। এই মামলার (Sitalkuchi Firing) শুনানি ১৩ ডিসেম্বর।
চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন শীতলকুচির বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। ওইদিন আনন্দ বর্মন নামে একজন ভোটের লাইনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ভোটে জিতে ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে সিআইডি জানিয়েছে, আত্মরক্ষার খাতিরে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা ন’রাউন্ড গুলি চালায়৷ যার জেরে মৃত্যু হয়৷
সিআইডি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই অফিসার এবং চার জন কনস্টেবলকে বেশ কয়েকবার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা নানা অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। এর পর ওই ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোচবিহারের মাথাভাঙা আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। আদালত সমন জারির নির্দেশ দেয়। তার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত আধাসেনারা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলাটি শোনার পর শুনানির জন্য জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে পাঠান।
আরও পড়ুন: গুজব থেকেই ভোটের দিন শীতলকুচিতে গোলমাল, আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে বাহিনী, রিপোর্টে জানাল সিআইডি