রান্নাঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণের একটি হিং। তবে জানেন কী রান্নায় শুধু স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ানোর জন্যেই নয়। শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধানেও হিং যথেষ্ট উপকারী। হিংয়ের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। তাই শীতকালে শরীরের জন্য হিং খুবই কার্যকরী। পুষ্টিবিদদের মতে হিং যদি ইষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে খাওয়া যায় তা হলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। সেগুলো কী কী জানুন-
- ওজন কম করতে সাহায্য করে
হিংয়ের জল মেটাবলিজন বাড়িয়ে তোলে এটা ওজন কম করতে সাহায্য করে। তাই রোজ সকালে ইষদুষ্ণ জলে হিং মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন, ওজন কমবে।
- হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে
হিংয়ের জল খেলে পেটের একাধিক সমস্যার সমাধান সহজেই হয়ে যায়। যেমন এটা আমাদের পাচনতন্ত্রে থাকা টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের পাচনতন্ত্র সুস্থ ও ভাল থাকে।
- সর্দি কাশির সমস্যা
শীতকালে সর্দি কাশির সমস্যা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার। এ ক্ষেত্রে রেহাই পেতে আপনি হালকা গরম জলে হিং খেয়ে দেখতে পারেন। আরাম পাবেন।
আরও পড়ুন: জানেন কি মহিলাদের জন্য কেন এত উপকারী মুনাক্কা?
- মাথা যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে রাখে
হিংয়ে যেহেতু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা আছে তাই মাথা যন্ত্রণায় এটা খুবই কাজের। এটা ব্লাড ভেজেলে ফোলাভাব কম করে এবং মাথা যন্ত্রণা অনেকটা কম করে।
- ঋতুস্রাবের সময়ও ভীষণ কার্যকরী
ঋতুস্রাবের সময় পেটে ও কোমরের যন্ত্রণা কাবু করে ফেলে অধিকাংশ মহিলাকে। একেক সময় এই পেট ব্যথা বা যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে যায় যে একেবারে অসহনীয় হয়ে ওঠে। এই সময় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গরম জল হিং খেতে পারেন। হিং শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। ফলে এই যন্ত্রণা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।