কলকাতা: কথায় আছে চায়ের (Tea) সঙ্গে টা না হলে ঠিক জমে না। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই জায়গাটি নিয়ে থাকে বিস্কুট (Biscuits)। গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। চায়ের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য জুটি বিস্কুটের। বাজারে অনেক ধরনেরই বিস্কুট কিনতে পাওয়া যায়। চকলেট থেকে শুরু করে নোনতা, আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রয়েছে সুগার ফ্রি বিস্কুট। অনেক সময় আমরা ভেবেই পাই না, কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব!
বিস্কুটের স্বাদ থেকে ধরণ অনুযায়ী আলাদা করা যায়। অনেক সময় ডিজাইনের তফাতও থাকে। কিন্তু আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন, যে কোনও রকম বিস্কুটের গায়ে ছিদ্র থাকে। কখনও কী মনে হয়েছে বিস্কুটের আগে কেন এইরকম ছিদ্র থাকে? এই ছিদ্রগুলি কি এমনিই করা হয় নাকি এর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে? বিস্কুটের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র করার পেছনে একটি বিজ্ঞানও কাজ করে। এই ছিদ্রগুলিকে ডকার বলা হয়। গর্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল বেক করার সময় বাতাস সেই ছিদ্রগুলির মধ্য দিয়ে যায়। সেই বাতাস প্রবাহের ফলে বিস্কুটের ফুলে ওঠা বাধা পায়।
বিস্কুটের ছিদ্রের পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ-
বিস্কুট বানানোর আগে ময়দা, চিনি ও লবণ শিটের মতো ট্রেতে ছড়িয়ে একটি মেশিনের নিচে রাখা হয়। এর পরে এই মেশিনটি বিস্কুটের মধ্যে গর্ত করে।
ছিদ্র ছাড়া বিস্কুট ঠিকমতো তৈরি করা যায় না। বিস্কুট তৈরি করার সময় ওই থিদ্রগুলি কাজে লাগে। যাতে গরম করার কারণে বিস্কুট বেশি ফুলে না যায়।
এখনকার হাই-টেক মেশিনগুলি এই ছিদ্রগুলিকে সমান ব্যবধান এবং মাপের করে তোলে। এতে বিস্কুটগুলো সব দিক থেকে সমানভাবে বেক করা যায়।
বিস্কুটে ছিদ্র করা হয়, যাতে রান্নার পর তা কুড়কুড়ে ও খাস্তা হয়ে যায়। ছিদ্র তৈরির একটি বৈজ্ঞানিক কারণ হল, এর মধ্যে থেকে তাপ বের করা। যদি ছিদ্র না থাকে তা হলে বিস্কুটের তাপ বের হতে পারবে না এবং মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।