Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeআজকেAajke | মোদিজি আবার মিথ্যের ঝোলা নিয়েই বাংলাতে প্রচারে নেমেছেন
Aajke

Aajke | মোদিজি আবার মিথ্যের ঝোলা নিয়েই বাংলাতে প্রচারে নেমেছেন

এই মিথ্যের বেসাতি আর কতকাল?

Follow Us :

এমনিতে মোদিজি টোয়েন্টি ফোর ইন্টু সেভেন ওই ইলেকশন মোডেই থাকেন। দেশেই থাকুন আর বিদেশেই থাকুন, মোড একটাই, উদ্দেশ্য একটাই, ভোট জোগাড় করা। তাঁর জীবনের দেবতা হল তাঁর সিংহাসন আর তার জন্যই নিবেদিত প্রাণ মোদিজির প্রতিটা কাজ ওই নির্বাচনকে চোখে রেখেই। এমনিতে প্রবল হিন্দু, শিবের মাথায় কলসি কলসি দুধ ঢেলে মন্ত্র পড়েন, মাথায় ভস্ম লাগিয়ে মন্দির থেকে বের হন, গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপনার আগে সব রীতিনীতি মেনেই নাকি চলেছেন, কিন্তু মাতৃবিয়োগের পরে মাথা কামাননি, কেন? কারণ ইমেজ, আর ইমেজ গেলে ভোট জুটবে না, কাজেই মাথা কামানো ক্যানসেল। আর সেই ভোটের জন্যই তিনি ক্যামেরা নিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার আগে ক্যামেরা অ্যাঙ্গল দেখে প্রণাম সারেন, বাইডেন সাহেবকে জড়িয়ে ধরার আগে আড়চোখে দেখে নেন ক্যামেরা কোনদিকে আছে, আর ক্যামেরার সামনে যদি কেউ এসে যায়? ধাক্কা দিয়ে তাঁকে সরিয়ে দিতে তাঁর এক মিনিটও ভাবতে হয় না। এটাই মোদিজি। সেই হেন তিনি বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের জন্য যে মিথ্যে বলবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এবারের মিথ্যেগুলো থেকে অনেক সত্যি বেরিয়ে আসছে, সেটাই সমস্যা। এবং গোয়েবলস-এর প্রচার তত্ত্বে বিশ্বাসী এই মোদিজি মিথ্যে বলার সময়ে তিনটে কথা মাথায় রাখেন। প্রথমটা হল কনটিনিউয়াস লাই, ক্রমাগত মিথ্যে, মিথ্যের পর মিথ্যে, আধুনিক একে সিরিজের রাইফেল থেকে যেমন হুড়হুড় করে গুলি বের হয়, সেই রকম ক্রমাগত মিথ্যে বলার ব্যাপারে আমাদের উনিজি খুব সিরিয়াস। আর অন্যটা হল, বিগ লাই, ছোটখাটো নয়, পাহাড়প্রমাণ মিথ্যে, বিরাট মিথ্যে যা সত্যি না মিথ্যে বুঝতে বুঝতেই বছর কেটে যাবে। আর তিন নম্বর যেটা মাথায় রাখেন তা হল আগের মিথ্যেটা ভুলে যাওয়া… বেমালুম ভুলে যাওয়া, সেসব মিথ্যে যেন কর্পূর, খানিক বাদেই উবে যায়, ওনার মনেই থাকে না। আবার নতুন মিথ্যে নিয়ে হাজির হন যেমন হাজির হচ্ছেন দেশের যত্রতত্র, এই বাংলাতেও। আর সেটাই বিষয় আজকে। মোদিজি আবার মিথ্যে মিথ্যে আর মিথ্যের ঝোলা নিয়েই বাংলাতে প্রচারে নেমেছেন।

মিথ্যে কি আর একটা? সব লিখতে বসলে ৪২ খণ্ডের বই হয়ে যাবে। আজ বরং ওনার ক্লাসিক্যাল মিথ্যেটা নিয়েই আলোচনা হোক। সেই কবে তখনও উনি সংসদে ঢোকেননি, কেবল গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, সেই তখন সভাতে সভাতে কী বলছিলেন? রামমন্দির বানানোর কথা? বলছিলেন কি ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার কথা? বলছিলেন ইউনিফর্ম সিভিল কোডের কথা? না, ২০১৪-র নির্বাচন লড়া হচ্ছিল দুর্নীতির ইস্যুতে, উনি তখন সভায় সভায় গিয়ে বলছিলেন না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা।

আরও পড়ুন: শীতলকুচি ভুলে যাবেন? কার অর্ডারে গুলি চলেছিল? কে মেরেছিল চার নিরীহ গ্রামবাসীকে?

উনি যে খাবারের কথা বলছিলেন, তা তো বুঝতে পারিনি, কিন্তু ওই সময়েই বলেছিলেন হরেক কে খাতে মে ইউহি পন্দ্রহ পন্দ্রহ লাখ আ যায়েঙ্গে, প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে এসে যাবে, কীভাবে? না উনি সমস্ত কালা ধন যা নাকি বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা পড়ে আছে সব সিজ করে নিয়ে আসবেন, সেই টাকা বিলিয়ে দেওয়া হবে। সেই ১৫ লাখ কোথায়? উনি কিছুই বলেননি, ছোটা মোটা ভাই অমিত শাহ অনেক পরে বলেছিলেন ওটা ছিল কথার কথা, জুমলা। তো এবারে মাঠে নামার আগেই সেরকম আরেকটা দুসরা ছুড়েছেন আমাদের মোদিজি, বলেছেন ৩০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি, এ রাজ্যের দুর্নীতিপরায়ণ মানুষজনের কাছ থেকে, সে টাকা নির্বাচনের শেষেই রাজ্যের মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, বচ্চে লোগ তালি বাজাও। আচ্ছা এরকম কোনও নিয়ম আছে নাকি? মানে টাকাটা তো কারও পিতৃদেবের টাকা নয়, সোজা বাংলাতে কারও বাপের পয়সা নয়, সেটা হুট বলতে ঝুট রাজ্যের সবাইকে দেবে কী করে? পদ্ধতি কী? আইনটা কী? কিছুই নেই, উনি বলেছেন, বলার ইচ্ছে হয়েছে বলেছেন ব্যস। ভক্তরা তো আনন্দে নাচন কোদন করতে শুরু করেছেন। তো ধরেই নিলাম যে আইনও উনি তৈরি করে নেবেন, তাহলেও দেখা যাক বিষয়টা কী দাঁড়াচ্ছে। ৩০০০ কোটি, আর এই বাংলার জনসংখ্যা কত? কমবেশি ১১ কোটি। সবাইকে সমান ভাগে দিলে একেক জনের ভাগে কত পড়ছে স্যর? ৩০০ টাকাও নয়। ভাবুন ইউহি ১৫ লক্ষ থেকে এক লাফে এখন সংখ্যাটা ৩০০ টাকারও কম। মানে কত টাকা সিজ হয়েছে সঠিক জানা নেই, অধিকাংশের মামলা চলছে, মামলায় হার বা জিতের পরেই সেই টাকার ভাগ্য নির্ধারণ সম্ভব, যদি তা সরকারি খাজানায় জমাও হয়, তাহলেও মাথা পিছু জুটবে ৩০০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী প্রতিপক্ষ এই হিসেব তুলে ধরেছেন, এবং মোদিজি তারপর থেকে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। হিসেব না করেই মোদিজিকে কারা মাঠে নামাল? কে জানে? আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা মোদিজি ইডির তিন হাজার কোটি টাকা বাংলার মানুষদের দেওয়ার কথা বলেছেন, তা কোন আইনে দেওয়া সম্ভব? ইডি যা বাজেয়াপ্ত করেছে, একমাত্র মামলা শেষ হবার পরেই তো তা সরকারি কোষাগারে যাবে, আর সরকারি কোষাগার থেকে একটা রাজ্যের নাগরিকদের কীভাবে টাকা দেওয়া হবে? কোন আইনে? আর মাথাপিছু ৩০০ টাকারও কম নিয়ে বঙ্গবাসীর ক’জন খুশি হবেন? শুনুন কী বলেছেন মানুষজন?

এই মিথ্যের বেসাতি আর কতকাল? এমন নয় যে বাকি রাজনৈতিকদলগুলো ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির, না তা নয়। কিন্তু এত রাশি রাশি মিথ্যে বলাই কেবল নয়, মিথ্যে বলাটা এক দর্শন, এমন রাজনৈতিক দল মেলা ভার। প্রত্যেক দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, যারা মানুষের কোটি কোটি টাকা মেরে দিয়ে কেবল সময় বুঝে বিজেপিতে চলে আসছে তারা মিঃ ক্লিন হয়ে যাচ্ছে। সেই সব নেতাদের নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের নেতা নরেন্দ্র মোদি নিজেকে সৎ পরিচ্ছন্ন বলে মানুষের সামনে তুলে ধরতে কোনও কসরৎ বাদ দিচ্ছেন না। আর সেই কসরতের একটা অঙ্গ হল এই নির্বিচার মিথ্যাচারণ।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Stadium Bulletin | ত্রিমুকুট জয়ের অপেক্ষায় মোহনবাগান
02:15
Video thumbnail
Kaustuv Ray | ফের নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন কৌস্তুভ রায়ের
03:26
Video thumbnail
Bomb Recovered | ভোটের আগে ফের মুর্শিদাবাদে বোমা উদ্ধার! অশান্তির আশঙ্কা বহরমপুর লোকসভায়
00:44
Video thumbnail
Howrah News | দীপ্সিতাকে কল্যাণের 'কুকথা'! হাওড়ায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
02:12
Video thumbnail
Mamata Banerjee | আজ বীরনগর ও চাকদহে সভা তৃণমূলনেত্রীর
01:37
Video thumbnail
আমার শহর (Amar Sahar) | সাদা পদ্মের শ্রীবৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভিড় পর্যটকদের
02:15
Video thumbnail
Murshidabad | ভোটের প্রচারে অধীরকে ছোট মোদি, ছোট অমিত শাহ বলে কটাক্ষ নওশাদ সিদ্দিকীর
03:05
Video thumbnail
Dilip Ghosh | রাজভবনের ঘটনা নিয়ে TMCকে নিশানা দিলীপের, কী বললেন দেখুন ভিডিও তে
05:29
Video thumbnail
Good Morning Kolkata | দেখে নিন আজ সকালের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি
12:15
Video thumbnail
বাংলার ৪২ | বনগাঁতে কোন দল এগিয়ে?
08:02