বেঙ্গালুরু: কর্নাটক বনধের (Karnataka Bandh) জেরে অন্তত ৪৪টি উড়ান বাতিল হল। কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Kempegouda International Airport) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়ান বাতিলের কথা যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু যাত্রী টিকিট বাতিল করায় এবং সময়মতো বিমানবন্দরে আসতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত। বিমানবন্দরের ভিতরে ঢোকার জন্য পাঁচজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা বিমানের টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানী শহর বেঙ্গালুরু (Bengaluru) সহ গোটা কর্নাটক স্তব্ধ। তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) কাবেরী নদীর জলবণ্টন (Cauvery River Water Disputes) ইস্যুকে হাতিয়ার করে শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বনধ চলছে। রাজ্যের কন্নড়পন্থী (Pro Kannada) সব সংগঠন বনধের ডাক দিয়েছে। বনধের ফলে বেঙ্গালুরুতে গাড়ি, অটো, বাস সহ সমস্ত যান চলাচল মুখ থুবড়ে পড়েছে। সব স্কুল-কলেজ, দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ। এদিন সকাল ৬টা থেকে বনধ শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে আন্দোলনকারীরা রাস্তা আটকে বসে পড়েছেন। চলছে স্লোগান। বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক কর্মী-সমর্থককে আইন ভঙ্গ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ইডি হাজিরাতে ‘না’, দিল্লির ধরনায় যোগ দেবেন অভিষেক
১। রাজ্যের সব দোকান, মল এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ। হোটেল, রেস্তরাঁ, সিনেমা হলও খোলেনি। রাস্তায় দেখা নেই অটো-ট্যাক্সির। বিভিন্ন বিমানবন্দর, স্টেশনে হাজার হাজার লোক আটকে পড়েছেন। কন্নড়পন্থী সংগঠনগুলি বিভিন্ন হাইওয়ে এবং টোল গেটে অবরোধ চালাচ্ছে।
বেঙ্গালুরু কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিছু বিক্ষোভকারী গিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের পুলিশ আটক করেছে।
রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিবাদ জোরাল হয়েছে।
২। বেঙ্গালুরু এবং মাণ্ড্য জেলা প্রশাসন নিজ অধিকারবলে আজ সমস্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে।
বেঙ্গালুরু পুলিশ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
মহিশুর, কোডাগু, মাণ্ড্য, চামরাজনগর এবং রামনগরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
৩। বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল পরিষেবা স্বাভাবিক আছে। রাজ্য পরিবহণও বাস চালাবে বলে ঘোষণা করলেও রাস্তাঘাট শুনশান।
ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল এবং ওষুধের দোকান, সরকারি অফিস খোলা থাকবে।
৪। কর্নাটক রক্ষণা বেদিকে, কন্নড় ছালাবলি এবং বিভিন্ন কৃষক সংগঠন কন্নড় ওক্কুটা নামে এক ছাতার তলায় এসে বনধ ডেকেছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বিরোধী দল বিজেপি এবং জেডিএস এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে।
৫। বেঙ্গালুরুর টাউন হল থেকে ফ্রিডম পার্ক পর্যন্ত একটি বিশাল মিছিল করে জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
৬। অটো চালকদের সংগঠন এবং ওলা চালকরা বনধকে সমর্থন জানাচ্ছে। এছাড়াও বৃহৎ বেঙ্গালুরু হোটেল সংগঠন এবং বেসরকারি স্কুল সংগঠনও বনধের পক্ষে রয়েছে।
৭। কর্নাটক-তামিলনাড়ুর সীমানা এলাকায় নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে।
তামিলনাড়ুর পুলিশ প্রধানও সীমানা এলাকার পুলিশ কর্তাদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেখুন আরও খবর